বালিশ কাণ্ডে গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন

0
699
বালিশ কাণ্ডে গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন

খবর৭১ঃ পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত প্রকল্পের বালিশ ও আসবাবপত্র কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলমসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন দিয়েছে দুদক। আজ বৃহস্পতিবার দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব ভট্টাচার্য এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

রূপপুর প্রকল্পের বালিশ কেলেঙ্কারি নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়, প্রকল্পের রাশিয়ান কর্মকর্তা কর্মচারীদের ৯৬৬টি ফ্ল্যাটের সরঞ্জামাদি সরবরাহ করতে বিভিন্ন আইটেমের ক্রয়মূল্য বাজার মূল্যের চেয়ে অস্বাভাবিক বেশি ধার্য করা হয়। এতে প্রতিটি বালিশের দাম ৫৯৫৭ টাকা এবং বালিশ ফ্ল্যাটে উঠানোর জন্য ৭৬০ টাকা ধরা হয়। এছাড়াও বৈদ্যুতিক চুলা ৭৭৪৭ টাকায় কিনে নীচতলা হতে উপরে তোলার জন্য ৬৬৫০ টাকা ব্যয় হয়। ঘটনা জানাজানি হলে আবাসন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

উল্লেখ্য, গত ২১ মে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছিলেন, গ্রিনসিটি প্রকল্পের দুর্নীতির বিষয়টি কমিশন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আবাসন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দুটি তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে ।

ইতিমধ্যেই তদন্ত কমিটি অনিয়মের অভিযোগে গ্রিনসিটি আবাসন প্রকল্পের গণপূর্তের পাবনার প্রকৌশলী মাসুদুল আলমসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে। ২২ মে প্রকৌশলী মাসুদুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সর্বশেষ তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ১৬ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ও ১৪ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন, রাজশাহী সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ কে এম জিল্লুর রহমান, পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলম, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী তাহাজ্জুদ হোসেন, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোস্তফা কামাল, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আহম্মেদ সাজ্জাদ খান, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ তারেক, সহকারী প্রকৌশলী রুবেল হোসাইন, আমিনুল ইসলাম, রওশন আলী, উপসহকারী প্রকৌশলী ফজলে হক, সুমন কুমার নন্দী, রফিকুজ্জামান, জাহিদুল কবীর, শাহীন উদ্দিন, আবু সাঈদ ও শফিকুল ইসলাম।

এ ছাড়াও গণপূর্তের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী গণপূর্ত জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শফিকুর রহমানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে এই ব্যবস্থা নেয়া হয় বলে জানা যায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here