খবর৭১ঃ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্টের আপিল বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির বেঞ্চ তার জামিন আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন। সকল বিচারপতির সম্মতির ভিত্তিতে এ আদেশ দেয়া হয়।
আদেশ অনুযায়ী, খালেদা জিয়া সম্মতি দিলে মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী তার বায়োলজিক্যাল চিকিৎসা শুরু করতে বলা হয়েছে।
এর আগে আজ সকালে শুনানির শুরুতে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত অবস্থা সম্পর্কিত মেডিক্যাল বোর্ডের প্রতিবেদন জমা দেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আলী আকবর। এই জামিন আবেদনের শুনানিতে গত ২৮ নভেম্বর আপিল বিভাগ খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থা সম্পর্কে জানাতে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে বোর্ডের মেডিকেল রিপোর্ট ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দেন। পরে নির্ধারিত দিনে প্রতিবেদন জমা না হওয়ায় আজ ১২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করে আদালত।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করে দুদক। ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে। গত বছরের ২৯ অক্টোবর এই মামলায় খালেদা জিয়াসহ চার আসামিকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত। এই সাজা বাতিল চেয়ে পরের মাসের ১৮ তারিখ হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া।
এ বিষয়ে শুনানি শেষে গত ৩০ এপ্রিল হাইকোর্ট ওই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে বিচারিক আদালতে দেয়া জরিমানার আদেশ স্থগিত করে বিচারিক আদালতে থাকা মামলাটির নথি তলব করেন হাইকোর্ট। গত ২০ জুন মামলার নথি হাইকোর্টে আসার পর খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন আদালতে তুলে ধরেন তার আইনজীবীরা। গত ৩১ জুলাই জামিন আবেদন খারিজ করেন হাইকোর্ট। পরে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আপিল বিভাগে যান।