খবর৭১ঃ বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেছেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর কিছু সদস্য দেশজুড়ে জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সদস্যদের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। সামরিক বাহিনীকে অবশ্যই সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত মানবাধিকারসমূহের লঙ্ঘন বন্ধ করতে হবে বলে। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র ও অর্থ দপ্তর গতকাল মঙ্গলবার মিয়ানমারের চার শীর্ষ বর্তমান এবং সাবেক সামরিক কর্মকর্তার ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর এ এক লিখিত বিবৃতিতে এ দাবি জানান মিলার।
মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের চলমান গণতান্ত্রিক উত্তরণের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে গুরুতর অন্যায়ে জড়িতদের জবাবদিহি এবং এসব ঘটনার শিকার হওয়া মানুষের জন্য ন্যায় বিচারকে সমর্থন করে। মিয়ানমারের উত্তর রাখাইন রাজ্যে ভয়াবহ অত্যাচারে জড়িত ব্যক্তিদের জন্য এখন পর্যন্ত কোন অর্থবহ জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়নি, যে ঘটনার ফলে ৭ লাখ ৪০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারকে আরও সুরক্ষিত, স্থিতিশীল, গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ একটি দেশে পরিণত হতে হলে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং অব্যাহত দায়মুক্তি অবশ্যই বন্ধ হতে হবে।
রাষ্ট্রদূত জানান, যুক্তরাষ্ট্র একটি স্বাধীন ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের বিষয়ে মৌলিক স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার রক্ষাকে অগ্রাধিকার দেয়। এ বিষয়গুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি এবং জাতীয় নিরাপত্তাগত স্বার্থের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য এবং এদেশের মূল্যবোধের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ মনে করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি কর্মসূচির অন্তর্নিহিত আমেরিকান আদর্শের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেকে জবাবদিহি এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে নিজেদের দায়িত্ব পালন করা অব্যাহত রাখবে বলে জানান মিলার।