পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্য কোর্স বন্ধে ইউজিসি’র নির্দেশনা

0
965
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্য কোর্স বন্ধে ইউজিসি’র নির্দেশনা

খবর৭১ঃ
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বক্তব্যের দুদিনের মাথায় এ নির্দেশনা প্রদান করল ইউজিসি। বুধবার সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কাছে চিঠিতে সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধসহ ১৩ দফা নির্দেশনা পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে বক্তৃতায় সান্ধ্য কোর্স বন্ধের পক্ষে অবস্থান জানিয়ে বলেছিলেন, ‘এর মধ্য দিয়ে উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউজিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সান্ধ্য কোর্স বন্ধ, উপাচার্যদের অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন এবং নতুন বিভাগ ও পদ সৃষ্টিতে ইউজিসির পূর্বানুমোদন গ্রহণ, নিয়োগ এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুসরণসহ ১৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ‘সান্ধ্য কোর্স পরিচালনা করা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশিষ্ট্য ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে বিধায় সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধ হওয়া দরকার।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়মিত কোর্স ছাড়াও বিভিন্ন বাণিজ্যিক কোর্স পড়ে প্রতিবছর হাজার হাজার গ্র্যাজুয়েট বের হচ্ছে। এতে ডিগ্রিধারীদের লাভ নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও এক শ্রেণির শিক্ষক ঠিকই লাভবান হচ্ছেন। তারা নিয়মিত নগদ সুবিধা পাচ্ছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করছেন। ফলে শিক্ষার পরিবেশের পাশাপাশি সার্বিক পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এখন দিনে সরকারি আর রাতে বেসরকারি চরিত্র ধারণ করে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সন্ধ্যায় মেলায় পরিণত হয়। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

নিজস্ব আয় বাড়াতে দেড় দশক ধরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সান্ধ্যকালীন কোর্স চালিয়ে আসছে। সান্ধ্যকালীন ‘বাণিজ্যিক’ কোর্স বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিল বাম ছাত্র সংগঠনগুলো।

ইউজিসির চিঠিতে উপাচার্যদের উদ্দেশে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে উপাচার্যরা নিজেদের মেধা, জ্ঞান ও প্রজ্ঞা দিয়ে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য প্রতিপালন করে যাচ্ছেন। তবুও নানা কারণে কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিয়ম-নীতি অনুসরণে শিথিলতা দেখা যাচ্ছে। এসব কারণে উচ্চশিক্ষা প্রশাসনে সৃষ্টি হচ্ছে বিশৃঙ্খলা, যা কাম্য নয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here