ক্ষুধা সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ, ১১৭ দেশের মধ্যে ৮৮তম

0
469
ক্ষুধা সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ, ১১৭ দেশের মধ্যে ৮৮তম

খবর৭১ঃ ক্ষুধা সূচকে ১১৭ দেশের মধ্যে ৮৮তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। ক্রমবর্ধমান উন্নতিতে ২০১৮ সালে ২৬.১ থেকে কমে বর্তমান সূচক হয়েছে ২৫.৮। যেখানে ২০০০ সালে স্কোর ছিল ৩৬। ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউট জানায়, ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে।

সোমবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিশ্ব ক্ষুধা সূচক ২০১৯ এর প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ সূচক নিয়ে আলোচনাকালে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে কৃষিতে বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয়। কৃষিজমি ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাওয়া, জনসংখ্যা বৃদ্ধিসহ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও বৈরী প্রকৃতিতেও খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উদাহরণ।

তিনি বলেন, ধান, গম ও ভুট্টা বিশ্বের গড় উৎপাদনকে পেছনে ফেলে ক্রমেই এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। সবজি উৎপাদনে তৃতীয় আর চাল ও মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে চতুর্থ অবস্থানে। বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও দুর্যোগ সহিষ্ণু শস্যের জাত উদ্ভাবনেও শীর্ষে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এমডিজি’র লক্ষ্য প্রায় সবগুলো অর্জন করেছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশ সার্বিকভাবে উন্নতির দিকেই রয়েছে। বাংলাদেশ শিশু মৃত্যু হ্রাসে ভালো করেছে এবং অন্যান্য সূচকে বাংলাদেশ ভালে করবেই। পুষ্টিহীনতা, শিশু খর্বাকার এবং শিশুমৃত্যু হার হ্রাস পেয়েছে বাংলাদেশে।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও খাদ্য উৎপাদনে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন লক্ষ্য আধুনিক কৃষি,বাণিজ্যিক কৃষি এবং নিরাপদ কৃষি। সবার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিমান সম্পন্ন খাদ্য নিশ্চিত করতে সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ। সরকার যে কোন মূল্যে তা করবে।

ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউট জানায়, বাংলাদেশ ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের মধ্যে ভারত ১০২, পাকিস্তান ৯৪, নেপাল ৭৩, মিয়ানমার ৬৯ এবং শ্রীলঙ্কা ৬৬তম অবস্থানে রয়েছে।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় পুষ্টি সেবার লাইন ডাইরেক্টর ডা. এসএম মোস্তফিজুর রহমান। এ ছাড়াও বাংলাদেশ পুষ্টি কাউন্সিলের মহাপরিচালক ডা. শাহ নেওয়াজ, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের কান্ট্রি ডাইরেক্টর একেএম মুসা, হেলভেটাস বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর উম্মে হাবিবা বক্তব্য রাখেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here