খবর৭১ঃ রাজপথে সক্রিয় হচ্ছে বিএনপি। খালেদা জিয়ার মুক্তি ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তি কেন্দ্র করে আটঘাট বেঁধে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। অপরদিকে বিএনপির সম্ভাব্য আন্দোলন কেন্দ্র করে সতর্ক অবস্থানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় নেয়া হচ্ছে প্রস্তুতি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সব মিলে উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে রাজনৈতিক ময়দানে। মুখোমুখি হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে, ১২ ডিসেম্বর চেয়ারপারসনের জামিনের রায়ের শুনানির পর আন্দোলনের রূপরেখা চূড়ান্ত করা হবে। খালেদা জিয়ার জামিনের রায় নেতিবাচক হলে সরকার পতনে এক দফায় যাওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত আছে হাইকমান্ডের। চূড়ান্ত আন্দোলনে যাওয়ার আগে ইস্যুভিত্তিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রাজপথে সক্রিয় হচ্ছে দলটি। এর অংশ হিসেবে ইস্যুভিত্তিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার মুক্তিকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিনে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি পালন করছে। আজ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে দলটি। এছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তিতেও রাজধানীতে ব্যাপক শোডাউন করবে বিএনপি।
এ লক্ষ্যে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করার চিন্তাভাবনা আছে। রাজপথের যে কোনো আন্দোলনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের শরিকদের পাশে রাখবে দলটি। অপরদিকে বিএনপির আন্দোলন সংগ্রাম মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। যে কোনো অরাজকতা কঠোরভাবে দমন করা হবে বলে হুশিয়ারি দেয়া হচ্ছে। বিএনপির কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের সব নেতাকর্মীকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এ নিয়ে কাজ করছেন।
বিএনপির আন্দোলনের প্রস্তুতিকে স্বাগত জানিয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ শনিবার যুগান্তরকে বলেছেন, তাদের আন্দোলনের মুরদ নেই। গত ছয় বছর থেকে আন্দোলন করতে চায় কিন্তু পারে না। জনগণ সঙ্গে না থাকায় তারা বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। আবার আন্দোলনের চেষ্টা করলে রাজপথে তাদের রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেলা করা হবে। নৈরাজ্য, অরাজকতার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের প্রতিহত করবে।
জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যুগান্তরকে বলেন, এই মুহূর্তে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলন করতেই হবে। আর গণতন্ত্রের অন্যতম নেত্রী খালেদা জিয়া এখন কারাগারে। গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হলে তার কারামুক্তির বিকল্প নেই। আমরা আশা করি আদালতে তিনি ন্যায়বিচার পাবেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার আদালতে তার জামিন শুনানি আছে। সরকার যদি আদালতকে ব্যবহার করে তার জামিন আটকে দেন তাহলে রাজপথেই এর সমাধান হবে। মানুষ তখন বর্তমান সরকার পতনের আন্দোলনকে বেছে নিতে বাধ্য হবে।
নজরদারি বৃদ্ধি ও সতর্কাবস্থায় আ’লীগঃ খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকার পতনে বিএনপির অব্যাহত আন্দোলন হুমকি, ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ঘিরে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করতে পারে এমন শঙ্কা থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। প্রয়োজনে তারা প্রতিরোধ কর্মসূচি দিয়ে মাঠে নামার চিন্তা করছে। এর অংশ হিসেবে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের কার্যক্রমের ওপর নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি নেতাকর্মীরা আছেন সতর্কাবস্থায়। এ অবস্থা মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় চাঙ্গা করা হচ্ছে সারা দেশের আন্দোলন প্রতিরোধ কমিটিগুলো।
এদিকে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে। নজরদারির পাশাপাশি থানায় থানায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সব ধরনের তথ্য হালনাগাদ করা হচ্ছে। কে কোন কমিটির কোন পদে আছেন, জীবিত না মৃত এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। বিগত সময়ে অনেক মৃত ব্যক্তিকে আসামি করায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। অতীত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, ১২ ডিসেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসনের জামিন শুনানি ঘিরে একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে বিএনপি। এই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির প্রাথমিক ইঙ্গিত তারা বৃহস্পতিবার আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ, হট্টগোল ও ভাংচুরের মাধ্যমে প্রকাশ করেছে। ওইদিন জামিন শুনানির রায় তাদের পক্ষে না গেলে বিএনপির নেতাকর্মীরা সহিংসতার মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির পাঁয়তারা করতে পারে। এ অবস্থা তারা ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় নির্বাচনের বর্ষপূর্তি পর্যন্ত অব্যাহত রাখতে পারে। সেদিন বড় ধরনের নৈরাজ্য করে সরকারের পতনের ডাক দেয়ার চেষ্টা করতে পারে। নেতারা বলেন, দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কাছে এমন রিপোর্টে তারাও নড়েচড়ে বসেছেন। রাজনৈতিকভাবে এ আন্দোলন মোকাবেলায় সারা দেশে সতর্কাবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে-পরে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার এখন থেকেই আওয়ামী লীগ প্রস্তুত থাকছে বলেও জানান তারা।
আওয়ামী লীগের অপর একটি সূত্র বলছে, মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান ঘিরে বড় আন্দোলনের ছক কষতে পারে বিএনপি-জামায়াত। বিষয়টি মাথায় নিয়ে এখন থেকেই নজরদারি বৃদ্ধি ও সতর্কাবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। দু’একদিনের মধ্যে তৃণমূলে এ নিয়ে নির্দেশনা যাবে। যে কোনো নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় আগের মতো প্রস্তুত থাকতে বলা হবে। ইতিমধ্যে অনেক জেলা নেতার টেলিফোনে, সরাসরি দেখা করে সতর্ক প্রস্তুতির বিষয়টি অবহিত করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
বিএনপি আন্দোলনের নামে অরাজনৈতিক কর্মসূচি দিলে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি এখন আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনে ব্যর্থ। তারা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। আন্দোলনের নামে তাদের যে কোনো নৈরাজ্যের চেষ্টা রুখে দেয়া হবে।
বিএনপির যে কোনো নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা মোকাবেলায় নিজেদের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। তিনি যুগান্তরকে বলেন, ইতিমধ্যে আমরা মতবিনিময় সভা করেছি। বিএনপির আন্দোলন প্রস্তুতির বিষয় নেতাকর্মীদের অবহিত করেছি। বুধবার নগরের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেও এ নিয়ে বিস্তারিত দিকনির্দেশনা দেবেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি আরও বলেন, ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তি। এ নিয়ে আমাদের জমকালো অনুষ্ঠান থাকবে। দিবসটিতে বিএনপি বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে। আমরা তাদের যে কোনো অরাজকতা প্রতিহতে রাজপথে সতর্ক পাহারায় থাকব। এছাড়া ১২ ডিসেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের রায় ঘিরে নৈরাজ্যের চেষ্টা হলে তা প্রতিহতে ঢাকার অলিগলিতে দলীয় নেতাকর্মীরা অবস্থান নেবেন। তাদের যে কোনো আন্দোলন রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেলা করা হবে বলেও জানান তিনি।
বিএনপির নৈরাজ্যকর আন্দোলন মোকাবেলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী। তিনি বলেন, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও থানা পর্যায়ের সব স্তরের নেতাকর্মী ইতিমধ্যে এ বিষয়ে অবহিত। খালেদা জিয়ার মামলায় জামিনের রায় ও ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন নিয়ে অহেতুক আন্দোলন করার চেষ্টা করলে তার দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে।
ধাপে ধাপে মাঠ দখল করতে চায় বিএনপিঃ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তিকে কেন্দ্র করে মাঠে নামছে বিএনপি। রাজপথে নামার ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। আন্দোলনের চূড়ান্ত কর্মসূচি প্রণয়নে কাজ করছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানির ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখা হচ্ছে। ১২ ডিসেম্বর জামিনের শুনানির পর আন্দোলনের রূপরেখা চূড়ান্ত করা হবে। রায় নেতিবাচক হলে সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে যাবেন তারা। এ আন্দোলনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের শরিকদেরও পাশে চায় বিএনপি। নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নিতে তৃণমূলেও বার্তা পাঠানো হয়েছে। এবার আটঘাট বেঁধে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামার কৌশল নিয়ে চলছে আলোচনা।
বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ইস্যুভিত্তিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রাজপথের আন্দোলন ধাপে ধাপে জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। হরতাল বা অবরোধ নয়, আপাতত ইস্যুভিত্তিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে মাঠ দখলের পরিকল্পনা রয়েছে দলটির। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি সারা দেশে পালনের জন্য কঠোর বার্তা পাঠানো হয়েছে। নেতাকর্মীরা রাজপথে নামছে কিনা তার প্রমাণ হিসেবে মিছিলের ছবি এমনকি ভিডিও কেন্দ্রে পাঠাতে বলা হয়েছে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে তা বাস্তবায়নও শুরু করেছে। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গতকাল সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে যুবদল। সোমবার সারা দেশে স্বেচ্ছাসেবক দল বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে র্যালি করবে বিএনপি। ১৭ ডিসেম্বর ঢাকায় ব্যাপক শোডাউন করবে তারা। ওইদিন বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে র্যালি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নির্বাচনের প্রথম বর্ষপূর্তিকে সামনে রেখে বড় ধরনের মহাসমাবেশ করার চিন্তাভাবনা রয়েছে। ঐক্যফ্রন্টকে সঙ্গে নিয়েই এ কর্মসূচি পালন করা হতে পারে। ২৯ অথবা ৩০ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সমাবেশ করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এতে ব্যাপক শোডাউনের মাধ্যমে রাজপথে তাদের উপস্থিতি জানান দিতে চাচ্ছেন।
জানতে চাইলে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, ৩০ ডিসেম্বর এ দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। গণতন্ত্র রক্ষায় জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনাসহ জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট দাবি নিয়ে আমরা সোচ্চার। এ মাসে রাজধানীতে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে বড় ধরনের সমাবেশের চিন্তাভাবনা রয়েছে। আমরা কাজও শুরু করেছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ মুহূর্তে সবার নজর আদালতের দিকে। বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি। সেদিন কি রায় হয় তার ওপর কর্মসূচির কৌশল অনেকটা নির্ভর করছে। ১২ ডিসেম্বরের পর ঐক্যফ্রন্ট তাদের কর্মকৌশল চূড়ান্ত করবে বলে জানান এই নেতা।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু যুগান্তরকে বলেন, বর্তমান সরকারের কর্মকাণ্ডে মানুষ অতিষ্ঠ। তারা দিন দিন ফুঁসে উঠছে। এ সরকারের দুঃশাসন থেকে তারা মুক্তি চায়। বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত। তারা শুধু ডাকের অপেক্ষায়। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া শুধু বিএনপি নয়, জনগণের নেত্রী। গণতন্ত্র রক্ষায় আপসহীন নেত্রী। তাকে কারাগারে রেখে দেশে কখনও গণতন্ত্র টেকসই হবে না। তাই গণতন্ত্রের স্বার্থেই জনগণ তার মুক্তি চায়। আশা করি আদালতে তিনি ন্যায়বিচার পাবেন। না হলে রাজপথেই ফয়সালা হবে।