খবর৭১ঃ
শেখ কাজিম উদ্দিন, বেনাপোলঃ বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির বেনাপোল শাখার সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মশিয়ুর রহমানের জীবনাবসন ও স্মৃতিচারণ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টার সময় বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের সভাকক্ষে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেন বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির বেনাপোল শাখার সদস্যরা।
এসময় বেনাপোল কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির বর্তমান সভাপতি ও বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বজলুর রহমান মরহুমের জীবনী নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। বলেন, হাজী মশিউর রহমান মুক্তিবাহিনীর একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরের বেশে অংশগ্রহণ করেছিলেন। মৃত্যুর পূর্বমুহুর্ত পর্যন্ত তিনি ছিলেন বিশিষ্ঠ বিদ্যানুরাগী ও সাদা মনের মানুষ। ১৯৭৬ সালে তিনি বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ঠিক অপর পার্শ্বে এশিয়ান হাইওয়ে সংলগ্ন ৭৪.৬৭ শতক জমির উপর প্রতিষ্ঠা করেন মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়। যা আদৌ চলন্ত পরিবহনের ন্যায় সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি কয়েক মেয়াদে ছিলেন মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা সভাপতি, বেনাপোল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সভাপতি। তিনি ছিলেন বেনাপোলের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ীক সংগঠন বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। মৃত্যুর পূর্বেও তিনি বেনাপোলে ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে বেনাপোল বাজারের সন্নিকটে কয়েক বিঘা জমি ক্রয় করেছিলেন। সেখানে স্থাপন করেছিলেন সুন্দর বিল্ডিং।
যা অনাকাঙ্খিত কিছু জটিলতায় তার সে স্বপ্ন আলোর মুখ দেখেনি। কিছুদিন হলো সেটি বিক্রী করে বেনাপোল বাজারে স্থাপন করেছেন বিশাল অট্রলিকা মার্কেট। তাছাড়া রাজনৈতিক স্বপ্ন দ্রষ্ঠায়ও তিনি ছিলেন এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছিলেন। পরে শেখ আফিল উদ্দিন এমপি হয়ে শার্শা উপজেলার উন্নয়নে হাল ধরলে উন্নয়নের কারিগর হাজী মশিয়ুর রহমান উন্নয়নকে ভালোবেশে শেখ আফিল উদ্দিনের উন্নয়নের পাশে দাড়ান।
এমন মহাৎ গুণের অধিকারি খুব কম এলাকাতেই জন্মগ্রহণ করে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির বেনাপোল শাখার সকল নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা।