রাকিব হাসান পটুয়াখালী প্রতিনিধি: কলাপাড়ায় কর কমিশন অফিসে ট্যাক্স আইডিন্টিফিকেশন সার্টিফিকেট (টিআইএন) নিতে জন প্রতি গুনতে হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। এই সার্টিফিকেটে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার উপ কর কমিশনার কর সার্কেল ২০ (খেপুপাড়া) পটুয়াখালীর সীল থাকলেও অনলাইনে খুজে না পেয়ে কাগজ হাতে অফিসে হাজির হয়েছেন ভুক্তভোগিরা। সোমবার তিনটায় পৌরসভার সামনে কর অফিস কার্যালয়ে মো. আল আমিন, রনি মিয়া, গুলজার হোসেনসহ আরো অনেকে হাজির হলে বেড়িয়ে আসে কর অফিসের দুর্নিতীর তথ্য। আল-অমিন মিয়ার অভিযোগ দুই জনার টিআইএন করার লক্ষে বেশ কিছুদিন আগে কর অফিসে আসেন তারা। এসময় নৈশ প্রহরি মানিক মিয়া তাদের কাছে ৪ হাজার টাকা দাবী করেন। একপর্যায় তিন হাজার টাকায় চুক্তি হলে অফিসের আর এক কর্মচারি হাচানের সামনে তার হাতে তিন হাজার টাকা তুলে দেন। কিন্তু সীলসহ যে কাগজ তাদের হাতে দিয়েছেন তা অনলাইনে খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা।
নৈশ প্রহরি মানিক মিয়ার উপস্থিতিতে এসব কথা জানান তিনি। এসময় অফিস সহকারী মো. রাতুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে কোন কিছু বলতে রাজি হননি। অভিযুক্ত মানিক মিয়াও কোন কথা বলেননি । এদিকে ভুক্তভোগিদের অভিযোগ তাদের জানা মতে ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত অন্তত ৩০ ত্রিশ জনের কাছ থেকে একই ভাবে টাকা নেয়া হয়েছে। অনেকের কাছ থেকে চার থেকে পাচ হাজার টাকা করেও নেয়া হয়েছে। তবুও সঠিক সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। খেপুপাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত কর কমিশনার কামরুজ্জামান সেনিয়াবাতের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকা নেয়ার কোন বিধান নেই। তবে অভিযুক্তদের ব্যাপারে কি ব্যবস্থা গ্রহন করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ দিতে হবে। কারন আমি যদি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলি সে পার পেয়ে যাবে। বলবে, আমি ইচ্ছো করে করেছি। অভিযোগ ছাড়া ব্যবস্থা গ্রহন করলে আমার ওপরে চাপ আসবে। প্রমান ছাড়া তো আর কিছু করা যাবে না। আপনাকে (সংবাদ কর্মীকে) একটা মেইল নাম্বার দিচ্ছি কয়েকটা কপি আমাকে পাঠিয়ে দেন। সাধারণ মানুষের অভিযোগ সরকারী কর অফিসের এসব কর্মচারীরা কি একাই টাকার ভাগ নিয়ে থাকেন? নাকি পান অন্য কর্মকর্তারাও। তাহলে দুর্নিতি করলেও তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ ছাড়া তদন্ত করে কেন ব্যবস্থা গ্রহন করা যাবে না।