দূর্ঘটনারোধে রিক্সা- অটোরিক্সা থেকে এলইডি লাইট ধ্বংস কার্যক্রম চলছে সৈয়দপুর ট্রাফিক বিভাগের

0
737
দূর্ঘটনারোধে রিক্সা- অটোরিক্সা থেকে এলইডি লাইট ধ্বংস কার্যক্রম চলছে সৈয়দপুর ট্রাফিক বিভাগের

মিজানুর রহমান মিলন,
সৈয়দপুরঃ
এলইডি বাল্বের আলো সরাসরি চোখে লাগে,এসময় সামনে কিছুই দেখা যায়না। ফলে দূর্ঘটনা ঘটে বেশী। অনেক সময় এ দূর্ঘটনায় যানমালেও ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এ বিষয়টিকে সামনে রেখে সৈয়দপুরে এলইডি বাল্ব (লাইট) ধ্বংস ( ভেঙ্গে ফেলা) কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সৈয়দপুর ট্রাফিক বিভাগ গত শনিবার থেকে ওই কর্মসুচি শুরু করে। এরই অংশ হিসেবে আজ সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন রুটে চলাচল করা ব্যাটারি চালিত ও ব্যাটারি বিহীন রিক্সা- রিক্সাভ্যানসহ অটোরিক্সায় অতিরিক্ত লাগানো এলইডি বাল্ব লাঠি দিয়ে ভেঙ্গে ফেলা হয়। শহরের বিমানবন্দর সড়ক,পাঁচমাথা মোড়, শহীদ তুলশীরাম সড়ক মোড় (মদিনা মোড়), পোস্ট অফিস সংলগ্ন থানা মোড় এলাকায় ট্রাফিক বিভাগ ওই অভিযান পরিচালনা করে। নীলফামারী
জেলা ট্রাফিক বিভাগের শহর ও যানবাহন পরিদর্শক আবু নাহিদ পারভেজ চৌধুরীর নেতৃত্বে অভিযানে অংশ নেন শহর ও যানবাহন উপ- পরিদর্শকসহ (ট্রাফিক সার্জেন্ট) ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা।

সপ্তাহব্যাপী শুরু হওয়া কর্মসুচিতে গত তিন দিনে প্রায় দুইশত যানবাহনে লাগানো ওইসব এলইডি বাল্ব ধ্বংস করা হয়। এদিকে ওই কর্মসুচি শুরু হওয়ায় এসব যানবাহন মালিকদের অনেকেই এলইডি বাল্ব খুলে নিয়েছে। ফলে রাতের বেলা শহরে চলাচল করা কেন যানবাহনে এলইডি বাল্ব দেখা যায়নি। এ নিয়ে অটোরিক্সা চালক আসলাম বলেন নতুন অটোরিক্সায় যে বাতি লাগানো থাকে তাতে পর্যাপ্ত আলো না হওয়ায় সবাই অটোরিক্সায় এলইডি বাল্ব লাগিয়েছে।কিন্তু ট্রাফিক বিভাগ এলইডির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করায় আমরা নিভু নিভু আলো দিয়ে রাতে অটো চালাতে বাধ্য হচ্ছি। এব্যাপারে সোমবার রাতে কথা হয় ট্রাফিক সার্জেন্ট মো. আশরাফ কোরায়শীর সাথে। তিনি খবর’৭১কে বলেন ওইসব যানবাহনে এলইডি বাল্ব লাগানোর ফলে অতিরিক্ত আলো চোখে লাগে। ফলে ওই বাল্বের কারণে সামনে কিছু দেখা যায়না। এসময় ঘটে যায় ছোটবড় দূর্ঘটনা। ক্ষতি হয় জানমালের। এসব থেকে রক্ষা পেতে এলইডি বাল্ব অপসারণসহ ধ্বংস অভিযান শুরু হয়েছে। জানতে চাইলে
শহর ও যানবাহন পরিদর্শক আবু নাহিদ পারভেজ চৌধুরী বলেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এ অভিযান শুরু হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে এ কর্মসুচি।
এদিকে ট্রাফিক পুলিশের এ অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে সৈয়দপুরের সচেতনমহল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here