খবর৭১ঃ
মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর থেকেঃ সৈয়দপুরে তাঁরকাটা ফ্যাক্টরীর শ্রমিক সোহেল হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কে সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের সামনে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ওই মানববন্ধন করা হয়।
দুপুর ১২ টা শুরু হয়ে ঘন্টাব্যাপী চলা মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারীরা সোহেল হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি সম্বলিত লেখা শ্লোগান প্লাকার্ড ও ব্যানার বহন করে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করেন। এতে নিহত সোহেলের দিনমজুর বাবা মো. সাইদুল ইসলাম ও মা মোছা. সামা বেগম এবং সোহেলের দেড় বছরের শিশু সন্তানসহ স্ত্রী মোছা. ছানা পরিবারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ ও এলাকাবাসীরা অংশ নেন। মানববন্ধন চলাকালে নিহত সোহেলের বাবা মো. সাইদুল অভিযোগ করে বলেন, সৈয়দপুর থানা পুলিশ সোহেল হত্যা মামলার দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করলেও অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে তেমন কোন তৎপরতা দেখাচ্ছেন না। মামলার এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং তারা তাঁকেসহ তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। এতে করে তিনি ও তাঁর পরিবারের সকল সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি বলেন, মামলার বিষয়ে বার বার থানা পুলিশের কাছে ধর্ণা দিচ্ছি। কিন্তু আমি গবীর মানুষ হওয়ার সৈয়দপুর থানা পুলিশ আমার কথায় কোন কর্ণপাত করছেন না।
কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি তাঁর ছেলে সোহেল হত্যার সঙ্গে জড়িত সকল আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এসময় সোহেলের স্ত্রীর হাতে থাকা শিশুপুত্রের পক্ষে লেখা আমার বাবা হত্যার বিচার চাই শ্লোগান সবার হৃদয়ে দাগ কাঁটে। প্রসঙ্গত, সৈয়দপুর শহরের পুরাতন বাবুপাড়ার মো. সাইদুল ইসলামের ছেলে সোহেলকে(২৫) গত ৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় তাঁর চুরি যাওয়া বাইসাইকেল খুঁজতে গিয়ে শহরের খেঁজুরবাগ মুন্সিপাড়ার কয়েকজন বখাটে যুবক তাকে বেদম মারপিট করেন। এতে সে গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ নভেম্বর ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে ১৫/২০ জন অজ্ঞাতনামা আসামীর বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় একটি মামলা করেন।
এরপর পুলিশ মামলার এজাহারনামীয় এক আসামীসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেন। তবে অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে সৈয়দপুর থানা পুলিশের তেমন তৎপরতা নেই বলে বাদীর অভিযোগে জানা গেছে।