খবর৭১ঃ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন বলেছেন, জনগণের সেবার জন্য ডাক্তারদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। নিয়মবহির্ভূতভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মো.আখতারুজ্জামান, সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাদিরা আক্তার, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আব্দুল আওয়াল, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমাউল হুসনা লিজা, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক লিয়াকত আলী ভান্ডারি, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকার প্রমুখ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে এখন ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। আগামীতে ডেঙ্গু রোগী মোকাবেলা করার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। তবে এডিস মশা নির্মূলের জন্য সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাকে সঠিক সময় তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের আটটি বিভাগে পনের তলা বিশিষ্ট আটটি নতুন হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। এই হাসপাতালের প্রথম ছয় তলায় ক্যান্সার চিকিৎসা করা হবে এবং এরপরে কিডনির অনুমোদন দেওয়া হবে। কারণ কিডনি রোগীদের ডায়ালিসিসের জন্য ঢাকায় যেতে হয়। ডায়ালিসিস করতে গিয়ে অনেক সময় গরিব মানুষ নিঃস্ব হয়ে যায় এবং অনেকে মৃত্যুবরণ করেন। এ কারণ প্রতিটি জেলায় দশ বেডের কিডনি হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন স্বাস্থ্যখাতে বর্তমান সরকারের নানা উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে বলেন, গত চার মাসে দুই হাজার ডাক্তারকে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। তারা বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা প্রদান করবেন। আগামী ৮ ডিসেম্বর সাড়ে ৪ হাজার নতুন ডাক্তার জেলা উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে যোগদান করবে। এতে করে হাসপাতালগুলোতে আর ডাক্তার সংকট থাকবে না।