খবর৭১ঃ
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইলে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করা হবে।
শুক্রবার রাজধানীর ফার্মগেটের খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মৎস্যজীবী লীগের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির কাছে আইনের শাসন, বিচার ব্যবস্থা, আদালত নিরাপদ নয়। তারা আদালত, আইনের শাসন ও বিচার মানে না। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আদালতের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে তারা আদালত প্রাঙ্গণে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলা করেছে এবং ইটপাটকেল ছুড়েছে। এই অবস্থায় বিএনপি যদি কখনো ক্ষমতায় আসে তাহলে পরিণতি কী হবে সেটা সহজেই বুঝতে পারা যায়।
নেতাকর্মীদের সর্তক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, চক্রান্ত এখনো চলমান আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয় সরকারকে হটানোর ষড়যন্ত্র চলছে। আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে।
মৎস্যজীবী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে ও নেতৃত্বের দাপট দেখিয়ে চাঁদাবাজি চলবে না। অফিসে অফিসে গিয়ে চাঁদাবাজি করবেন, এ রকম নেতা আমরা চাই না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যাদেরকে নেতৃত্বের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও অনিয়মের কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে এবং তা প্রমাণ হলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের বাদ দেয়া হবে।
মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক নারায়ণ চন্দ্র চন্দ্রের সভাপতিত্বে এ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এবং ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী উপস্থিত ছিলেন।
পরে মৎস্যজীবী লীগের সম্মেলনে নবনির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি হিসাবে মো. সাইফুর রহমান, কার্যকরী সভাপতি হিসাবে সাইদুল আলম মানিক এবং সাধারণ সম্পাদক হিসাবে শেখ আজগর লস্করের নাম ঘোষণ করেন তিনি।
এছাড়াও সম্মেলনে মৎস্যজীবী লীগ সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আবুল বাশার, আব্দুল গফুর, মোহাম্মদ আলম, বাবুল মিয়া, মীর আসাদুজ্জামান, শাহে আলম মিয়া ও নাসরিন সুলতানা। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আলিম, টিপু সুলতান ও রফিকুল ইসলাম রফিক। বাসস