খবর৭১ঃ
ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত আট প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলায় আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে চার্জশিট দাখিল করা হবে। এ লক্ষ্যে দ্রুত তদন্ত শেষ করতে তদন্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)।
ওই আট প্রভাবশালী হলেন- বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, জিকে শামীম, অনলাইন ক্যাসিনোর মূল হোতা সেলিম প্রধান, সেলিমের দুই সহযোগী আখতারুজ্জামান ও রোমান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান ওরফে মিজান, গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এনামুল হক এনু ও তার ছোটভাই একই থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রূপন ভূঁইয়া। এর মধ্যে এনু ও রূপন বাদে বাকিদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগ থেকে এই আটজনের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে সবার বিরুদ্ধেই মোটা অংকের মানি লন্ডারিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পলাতক কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদের বিরুদ্ধে করা পৃথক একটি মানি লন্ডারিং মামলার তদন্ত করছে সিআইডির ঢাকা মেট্রো শাখা। জানতে চাইলে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল যুগান্তরকে বলেন, মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত সব মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে যাতে চলতি বছরের মধ্যেই তারা তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে বিশেষ কারণে যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো মামলার তদন্ত শেষ করা না যায়, তবে আরও একটু সময় দেয়া হতে পারে। এ ক্ষেত্রে তদন্ত কর্মকর্তাদের অবশ্যই যৌক্তিক কারণ উপস্থাপন করতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে বিশেষ পুলিশ সুপার বলেন, তদন্তের অংশ হিসেবে আমরা সাব রেজিস্ট্রি অফিস, বাংলাদেশ ব্যাংক, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, জয়েন্ট স্টক কোম্পানি লিমিটেড এবং রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশসহ (রিহ্যাব) সরকারের বিভিন্ন দফতরে চিঠি দিয়েছিলাম। বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে এরই মধ্যে জবাব এসেছে।
সিআইডি সূত্র জানায়, অভিযানে যারা ধরা পড়েছে তাদের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ কারণে মানি লন্ডারিং মামলাগুলো অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রতিটি মামলা তদন্তের জন্য একজন করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পৃথক টিম করা হয়েছে। তাছাড়া একজন ডিআইজির (ইকোনমিক) নেতৃত্বে মনিটরিং সেল করা হয়েছে।