খবর৭১ঃ
বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে তুরস্কের সহায়তা কামনা করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তুরস্কের আঙ্কারায় সফররত অর্থমন্ত্রী বৃহস্পতিবার দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাতকালে অর্থমন্ত্রী বলেন, পৃথিববীর অন্যতম প্রধান ঘন বসতিপূর্ণ একটি ছোট দেশ বাংলাদেশ। এখানে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত বড় হুমকি যা বাংলাদেশর সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে ব্যাহত করছে। তাই বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবসনের কোনো বিকল্প নেই। অর্থমন্ত্রী এ সমস্যাটি সমাধানে তুরস্কে সহায়তা কামনা করেন। তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট এ বিষয়ে আরো বেশি আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন। অর্থমন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সমস্যাটি সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করার পাশাপশি মুসলিম দেশগুলো ভাগাভাগি করে তাদেরকে আশ্রয় প্রদান করলে সমস্যা অনেকটাই সমাধান হতে পারে। তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট এ বিষয়টি নিয়ে বিশেষভাবে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান।
সাক্ষাতকালে তুরস্কের পক্ষ থেকে একটি বাণিজ্যিক কার্যালয় বাংলাদেশে স্থাপন করতে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, যেহেতু বাংলাদেশে তাদের বাজার রয়েছে এবং তারা যেহেতু ইউরোপসহ অন্যান্য দেশের প্রবেশদার, তাই বিশ্বে তাদের একটি অন্যরকম গুরুত্ব রয়েছে। এ ধরনের কার্যালয় স্থাপন করে কর্মপরিচালনা করলে বাণিজ্য সংক্রিয়ভাবেই অনেকগুণ বেড়ে যাবে। অর্থমন্ত্রী এ বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুবিধাগুলো তুলে ধরলে তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের চামড়াজাত দ্রব্যের প্রতি অত্যধিক আগ্রহ ব্যক্ত করেন। এবং আসিটি খাতে তুরস্ক যেহেতু অত্যন্ত সফল তাই এই দুটি খাতে বাংলাদেশ সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে প্রকল্প প্রেরণের অনুরোধ জানান। বাংলাদেশ কৃষি খাত, এগ্রো প্রসেসিং, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, ফ্রুট প্রসেসিং বিশেষ করে আম, লিচু, কাঠাল, আনারস প্রসেসিং এর মাধ্যমে বানিজ্য বাড়াতে আলোচনা করা হয়। এছাড়া উৎকৃষ্ট মানের মাংস উৎপাদন ও রপ্তানির জন্য হালাল সার্টিফিকেশনের ক্ষেত্রে তুরস্কের সহায়তার বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে।
সাক্ষাতকালে আরো উপস্থিত ছিলেন তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দিকী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মো. দাউদ আলী।