খবর৭১ঃ সিলেটে জেলা ও মহানগর যুবদলের কমিটি গঠন নিয়ে ক্ষোভে ফুসছেন সিলেটে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীসহ একাংশের নেতারা। এ নিয়ে শুক্রবার রাতে নগরীর কুমারপাড়া এলাকায় সভা করেছেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
সভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-ক্ষুদ্র ঋণবিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, সদস্য মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। সভায় বিএনপির ও যুবদলের অবমূল্যায়িত নেতাকর্মীরা দল থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলে তাদের থামিয়ে দেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
এক পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী সিদ্ধান্ত নেন তারা নিজেরাই দলের কেন্দ্রীয় পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। আজ তারা দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠাবেন। পরবর্তীতে তাদের সঙ্গে থাকা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতারাও গণপদত্যাগ করবেন বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।
এ ব্যপারে সভায় উপস্থিত থাকা সিলেট জেলা যুবদলের সদ্য সাবেক কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, শুক্রবার সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের যে কমিটি গঠন করা হয়েছে এতে দীর্ঘদিন ধরে যুবদলের রাজনীতি করা কেউ ঠাঁই পাননি। ঠাঁই পেয়েছেন বিশেষ একজন কেন্দ্রীয় নেতার অনুসারীরা। তাই বিষয়টি নিয়ে তারা রাতেই সিলেটে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তুলে ধরেন। এর প্রেক্ষিতে বিএনপির তিন কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুর রাজ্জাক, আরিফুল হক চৌধুরী ও ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী দলের পদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি আরও বলেন, অতীতে সিলেটে বিএনপির যে কোন অঙ্গসংগঠনের কমিটি করা হলে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে করা হত। কিন্তু এবারের কমিটির ব্যাপারে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এম এ হক, তাহসিনা রুশদী লুনাসহ কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি