খবর৭১ঃ প্রার্থীর সন্তান সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী না হলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মানোনয়ন না দেওয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। একইসঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যালয় হতেই শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষা দিতে উপযুক্ত পাঠ্যক্রম প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া ২১ লক্ষ নিরক্ষর জনগণকে সাক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন করে তুলতে দেশব্যাপী চলমান ‘মৌলিক সাক্ষরতা’ শীর্ষক প্রকল্পের কার্যক্রম তদারকির জন্য জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করার সুপারিশ করেছে।
সংসদ ভবনে আজ অনুষ্ঠিত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদী স্থায়ী কমিটির পঞ্চম বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন, মেহের আফরোজ চুমকি, নজরুল ইসলাম বাবু, ইসমাত আরা সাদেক, শিরীন আখতার, আলী আজম ও ফেরদৌসী ইসলাম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, বৈঠকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে প্রাথমিক যোগ্যতা হিসেবে সভাপতি প্রার্থীর সন্তানকে অবশ্যই ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হতে হবে বলে স্থায়ী কমিটি সুপারিশ করে।
বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৮হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নব্য জাতীয়করণকৃত স্কুলে এসব শিক্ষককে পদায়নের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাঁদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলারও পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া মানসম্মত শিক্ষা ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ই-প্রাইমারি স্কুল সিস্টেম এবং ই-মনিটরিং কার্যক্রমের রোড ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে বলে কমিটিকে জানানো হয়।
বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম আল হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।