খবর৭১ঃ
কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের সভাপতি শফিকুল আলম ওরফে ফিরোজের ২ কোটি ৬৮ লাখ ২ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। আজ বুধবার সংস্থাটির ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, শফিকুল আলম ১ কোটি ৪০ লাখ ৪৩ হাজার ৪৭০ টাকার স্থাবর সম্পদ হিসেবে অকৃষি সম্পত্তি অর্জন করেছেন বলে আয়কর নথিতে তথ্য দিয়েছেন। অনুসন্ধানে এই সম্পদের পরিমাণ আরও বেশি বলে দুদক মনে করছে। এ ছাড়া তিনি ওই সম্পদ অর্জনের সুনির্দিষ্ট কোনো উৎস দেখাতে পারেননি।
অনুসন্ধানের সময় বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, বিভিন্ন ব্যাংকে শফিকুল আলমের ১ কোটি ২৩ লাখ ৩৯ হাজার ১২০ টাকা জমা থাকার তথ্য পাওয়া যায়। ওই টাকারও সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পায়নি দুদক। দুদক বলছে, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ হিসেবে পাওয়া মোট ২ কোটি ৬৮ লাখ ২ হাজার ৬৩৯ টাকা শফিকুল আলম অবৈধভাবে অর্জন করেছেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, অনুসন্ধানে তারা তথ্য পেয়েছে শফিকুল আলম একসময় ধানমন্ডি ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। ওই ক্লাবের সদস্য হওয়ার জন্য তিনি ৬০ লাখ টাকা দিয়েছেন। শফিকুলের স্ত্রীর নামে ধানমন্ডিতে দুটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থাকার তথ্যও পেয়েছে সংস্থাটি। তারা বলছে, দেশে-বিদেশে শফিকুলের বিপুল সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার পর তদন্তের সময় সেগুলো আমলে নেওয়া হবে।
ক্যাসিনো-বিরোধী অভিযানের শুরুতে ২১ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের সভাপতি শফিকুল আলম। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা করে র্যাব।
শফিকুল আলমের বিরুদ্ধে মামলাটি সাম্প্রতিক শুদ্ধি অভিযানে দুদকের নবম মামলা। এর আগে ঠিকাদার জি কে শামীম, বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগের নেতা এনামুল হক ও তাঁর ভাই রুপন ভূঁইয়া, অনলাইন ক্যাসিনোর হোতা সেলিম প্রধান, বিসিবির পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়া এবং যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক আনিসুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী সুমি রহমানের বিরুদ্ধে আটটি আলাদা মামলা করে দুদক।