খবর৭১ঃ
এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স অনুযায়ী, দিল্লির বাতাসে বিষাক্ততার পরিমাণ নিরাপদ সীমার থেকেও অন্তত ছয় গুণ বেশি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, দিওয়ালীর সময় যে আতশবাজি ও রঙের ব্যবহার হয় তা এই বিষাক্ত বাতাসকে আরও ভয়াবহ করে তুলবে। ফলে অচিরেই সর্বকালের সবথেকে দূষিত বাতাসের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলবে দিল্লি।
এদিকে, স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে প্রায় প্রতি বছরই নিজের পরিবারের সঙ্গে দিল্লিতেই দিওয়ালি উৎযাপন করতেন মনিষ ভার্মা। কিন্তু এবার বাধ্য হয়েই মনিষ এবার তার স্ত্রী ও সন্তানদেরন নিয়ে সাময়িকভাবে পাহাড়ি এলাকায় পাড়ি জমিয়েছেন।
গত কয়েক বছর ধরেই এমন একটি প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে যে, দিল্লির মানুষ শীত আসলেই শহর ছেড়ে পাহাড়ি এলাকাগুলোতে চলে যাচ্ছে। তাদের কাছে দিল্লিকে এখন একটা গ্যাস চেম্বারের মতো মনে হয়।
বছরের অন্য সময় দিল্লিতে যে বায়ু দূষণ হয়ে থাকে তাতেই শহরটি বিশ্বের সবথেকে দূষিত শহরগুলোর একটি হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। তবে শীতে এই অবস্থা আরও বেশি ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। বাতাসের গতি কমে যাওয়ায় দূষণ যেনো জমাট বেধে থাকে। এর মধ্যে যখন দিওয়ালীতে আতশবাজি ও রঙ উড়ানো হয় তখন সে বাতাস সম্পূর্ণ বিষাক্ত হয়ে ওঠে। গত শুক্রবার দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি লেভেল ৩৮৮তে গিয়ে পৌঁছে। অথচ এর নিরাপদ সীমা হচ্ছে ৬০। গত বছর দিওয়ালীর পর এই লেভেল পৌঁছে গিয়েছিলো ৮০০তে।
উল্লেখ্য, দিল্লিসহ ভারতের অন্যান্য শহরে বায়ু দূষণের প্রভাবে প্রতি বছর ১০ লাখ মানুষ মারা যায়। শীতকালে বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সরকার এ সময় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বিভিন্ন নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখে। তবে তাতেও অবস্থার খুব একটা উন্নতি হয়নি।