খবর৭১ঃ
খেলোয়াড়রা কোনো সমস্যায় পড়লেই ছুটে যান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কাছে। ব্যক্তিগত থেকে পারিবারিক- ক্রিকেটারদের সব সমস্যাতেই পাশে থাকেন বোর্ড সভাপতি। সেই ক্রিকেটাররাই সোমবার দাবি-দাওয়া আদায়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। বিসিবি সভাপতি বা পরিচালকদের কাছে না গিয়ে ক্রিকেটাররা সরাসরি আন্দোলনে নামার পেছনে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন কর্মকর্তাদের কেউ কেউ। এতে দেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে বলেও মনে করেন কর্মকর্তারা।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সোমবার সন্ধ্যায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন তার ‘কোর’ পরিচালকদের নিয়ে বেক্সিমকো ফার্মার ধানমন্ডি কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক করেন। সেখানে তিনি ইঙ্গিত দেন, খেলোয়াড়দের আর্থিক দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়া হবে। তবে বিপিএল ইস্যুতে করণীয় ঠিক করতে সময় নেবেন তারা। মঙ্গলবার দুপুরে বিসিবি কার্যালয়ে পরিচালকদের সঙ্গে আরও একবার বৈঠক করবেন পাপন।
পরিচালক মাহাবুবুল আনাম বলেন, ‘খেলোয়াড়দের দাবি-দাওয়া থাকতেই পারে। সেগুলো মিডিয়ায় তুলে ধরার আগে বিসিবিকে জানাতে পারত তারা। বোর্ড সভাপতির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হয় এই ক্রিকেটারদের। এ দাবিগুলোই যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সিইও, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান এবং বিসিবি সভাপতিকে জানাতে পারত। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান না হলে তারা আন্দোলনে যেতে পারত। আমি মনে করি, ক্রিকেটারদের এভাবে ধর্মঘট ডাকার পেছনে কেউ কলকাঠি নাড়ছে। ক্রিকেটের ক্ষতি করতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এটা কারও জন্যই ভালো কিছু বয়ে আনবে না।’
তবে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান অবশ্য কোনো ষড়যন্ত্র দেখছেন না। তিনি মনে করেন, ‘এ ধরনের ঘটনা আন্দোলন দিয়ে শুরু হয়। বোর্ডের সঙ্গে বসার পর সেটা আর আন্দোলন থাকে না। ক্রিকেটারদের স্বার্থ দেখার জন্যই তো বোর্ড। খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা বসে একটা সমাধান হবে আশা করি। মঙ্গলবার আমরা বোর্ডের কর্মকর্তারা সভা করে ক্রিকেটারদের উত্থাপিত বিষয়গুলো সমাধানের চেষ্টা করব।’
পরিচালক আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি বলেন, ‘আমি মনে করি, এই পর্যায়ে কেন এলো তা ভেবে দেখতে হবে। এখানে যে দাবিগুলো এসেছে, সবকিছুর সঙ্গে আমি একমত হতে পারছি না। তবে অধিকাংশই আমি মনে করি যুক্তিযুক্ত। যৌক্তিক দাবি হলে সেটা পূরণ করাও যেতে পারে।’
বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস ক্রিকেটারদের এই আন্দোলনকে ভালোভাবে নেননি। তিনি বলেছেন, ‘আমরা তো কিছুই জানি না যে, ক্রিকেটারদের ভেতরে ভেতরে এত রাগ, ক্ষোভ, অভিমান। ক্রিকেটাররা বোর্ডে তাদের দাবি আনুষ্ঠানিকভাবে পেশ করে দেখত আগে। তারপর না হয় আলটিমেটাম দিতে পারত। অথচ তা না করে, তারা মিডিয়ার কাছে নিজেদের দাবি-দাওয়া পেশ করে থেকে সব ক্রিকেটীয় কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা- রীতিমতো ব্ল্যাকমেইলিং।’