খবর৭১ঃ ১১ দফার দাবিতে ক্রিকেটারদের ধর্মঘটের ঘোষণার উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠক ডেকেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বেক্সিমকোর ধানমন্ডির অফিসে বোর্ডের উচ্চপর্যায়ের অনানুষ্ঠানিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। তারা উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন।
বৈঠক থেকে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় বোর্ডে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন পরিস্থিতি নিয়ে বোর্ড পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলতে মঙ্গলবার দুপুরের আগে বোর্ডে যাবেন।
বেক্সিমকো অফিসে বিসিবি কর্তাদের অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় ক্রিকেটারদের এমন আচরণে বিস্ময় প্রকাশ করা হয়েছে। বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস সাংবাদিকদের বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা বিস্মিত, হতবাক। তাদের ধারণা—এটা ক্রিকেটকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র। তিনি বলেন, বোর্ডের কাছে লিখিতভাবে কোনো দাবি আকারে পেশ করলেও তা নিয়ে অবশ্যই কথা হতো। কিন্তু তা না করে সরাসরি আলটিমেটাম দেওয়া। আমরাও চাই বিষয়টির মীমাংসা হোক। এজন্যই মঙ্গলবার বোর্ডে বসব আমরা। সেখানেই হয়তো বসে সব কিছু ঠিক হবে।
এদিকে, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের (ওয়ানডে) অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে জানিয়েছেন, অনেকেই প্রশ্ন করছেন যে, দেশের ক্রিকেটের এমন একটি দিনে আমি কেন উপস্থিত ছিলাম না। আমার মনে হয়, প্রশ্নটি আমাকে না করে, ওদেরকে করাই শ্রেয়। এই উদ্যোগ সম্পর্কে আমি একদমই অবগত ছিলাম না। নিশ্চয়ই বেশ কিছু দিন ধরেই এটি নিয়ে ওদের আলোচনা ছিল, প্রক্রিয়া চলছিল। কিন্তু এ সম্পর্কে আমার কোনো ধারণাই ছিল না। সংবাদ সম্মেলন দেখে আমি ওদের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে পেরেছি।
মাশরাফি উল্লেখ করেন, ক্রিকেটারদের নানা দাবির সঙ্গে আমি আগেও একাত্ম ছিলাম, এখনো আছি। আজকের (গতকাল) পদক্ষেপ সম্পর্কে আগে থেকে জানতে পারলে অবশ্যই আমি থাকতাম। মিডিয়ায় ওদের খবর দেখার পর থেকে হাজারবার আমার মাথায় এই প্রশ্ন এসেছে, যে কেন আমাকে জানানো হলো না। অনেকে আমার কাছে জানতেও চেয়েছেন। কিন্তু আমি নিজেও জানি না, কেন জানানো হয়নি। তবে আমার উপস্থিত থাকা কিংবা না থাকার চেয়ে, ১১ দফা দাবি বাস্তবায়িত হওয়াই বড়ো কথা। সব কটি দাবিই ন্যায্য, ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের মঙ্গলের জন্য জরুরি। আমি মাশরাফি বিন মুর্তজা, ১১ দফা দাবি শান্তিপূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হওয়ার পক্ষে আছি, থাকব