খবর৭১ঃ
ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশ ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও শতাধিক। নিহত চারজনের মধ্যে দুইজন ছাত্র বলে জানা গেছে। আজ রবিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা সদরের বোরহানউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় এ সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের বিপ্লব নামে এক যুবকের ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে উপজেলাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ফেসবুক পোস্টটির জেরে রবিবার বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেন স্থানীয়রা। তারা বোরহানউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়।
ভোলায় বোরহানউদ্দিনের জনতা-পুলিশ সংঘর্ষপরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৪ প্লাটুন বিজিবি তলব করা হয়েছে। এর মধ্যে এক প্লাটুন বিজিবিকে হেলিকপ্টারে করে জরুরি ভিত্তিতে ভোলার উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে। আর বাকি তিন প্লাটুন সড়পথে রওনা হয়েছে ভোলার উদ্দেশে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবির পাবলিক রিলেশন অফিসার মো. শরিফুল ইসলাম।
এর আগে মহানবী (সা.) ও ইসলামকে কটূক্তি করাকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে মানুষ। এ অবস্থায় আজ সকাল ১১টার দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশের সাথে জনতার দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে চারজন নিহত ও অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিপুলপরিমাণ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। আহতদের মধ্যে ১০/১৫ জনকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত দুই ব্যক্তির মৃতদেহ ভোলা সদর হাসপাতালে এসেছে বলে জানান আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ড. তৈয়বুর রহমান। এর আগে বোরহানউদ্দিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. শাহীন হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সংঘর্ষে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ স্বজনরা নিয়ে গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের জনৈক বিপ্লব নামের এক যুবক তার ফেসবুক আইডিতে মহানবী (সা.) ও ইসলামকে কটূক্তি করে। এ ঘটনায় উপজেলাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ শনিবার ওই যুবকসহ আরো একজনকে আটক করে। এদিকে কটূক্তির প্রতিবাদে রবিবার বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় মুসল্লিরা। বোরহানউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় মুসল্লিরা প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। এ বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে একপর্যায়ে পুলিশের সাথে মুসল্লিদের সংঘর্ষ শুরু হয় ও এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।