খবর৭১ঃ সংসদীয় চর্চা, সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ গঠন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন এবং সন্ত্রাসবাদ নির্মূল নিয়ে মতবিনিময় করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও আলজেরিয়া পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট স্লাইমানি চেনাইনি।
এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সংসদীয় সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে ওআইসিভুক্ত দেশসমূহ শান্তি আনয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর এই নীতিতে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসবাদের বিপক্ষে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডে চলমান আইপিইউর ১৪১তম সম্মেলনের অবকাশে আজ সম্মেলন স্থলসাভা সেন্টারে এই সাইড লাইন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় সংসদীয় চর্চা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে আলজেরিয়ার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে ৫০টি সংসদীয় কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন অনন্য উচ্চতায় রয়েছে। বর্তমানে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশ। বাংলাদেশ সামাজিক ও অর্থনৈতিকসহ সকল সূচকে সুদৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। এসময় আলজেরিয়া পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান তিনি।
সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ গঠনের মাধ্যমে দু’দেশের বিদ্যমান সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হতে পারে বলে ঐকমত্য পোষন করে আলজেরিয়া পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট বলেন, ঐতিহাসিক সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় দুই দেশ আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি আরো বলেন, আইপিইউ সম্মেলন এমন এক মিলনমেলা যেখানে বিশ্বের সকল দেশ মত-বিনিময়ের সুযোগ পায়। সারা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশ সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।