খবর৭১ঃ
প্রায় দুই মাস অবরুদ্ধ থাকার পর আবারও পর্যটকদের জন্য খুলে উন্মুক্ত হলো পৃথিবীর ভূ-স্বর্গখ্যাত জম্মু-কাশ্মীর। বুধবার (৯ অক্টোবর) এক আদেশে পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের স্বরাষ্ট্র বিভাগ। পাশাপাশি, ভ্রমণকালে পর্যটকদের নিরাপত্তাসহ সব ধরনের সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছে তারা।
জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের জেরে গত ৫ আগস্ট থেকেই উপত্যকা এলাকায় সব ধরনের পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ করে ভারত সরকার। এর আগেই সরিয়ে নেওয়া হয় হাজার হাজার পর্যটক, তীর্থযাত্রী, কর্মী, শিক্ষার্থী। বিক্ষোভের শঙ্কায় জারি করা হয় ১৪৪ ধারা, বন্ধ করে দেওয়া হয় সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় টেলিফোন, মোবাইল, ইন্টারনেটসেবা।
পর্যায়ক্রমে কিছু কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হলেও কাশ্মীরের বেশিরভাগ এলাকাতেই এখনো মোবাইল-ইন্টারনেটসেবা বন্ধ রয়েছে।
পর্যটন বিভাগের তথ্যমতে, আগস্টের শুরুতে উপত্যকায় অন্তত ২০ থেকে ২৫ হাজার ভ্রমণার্থী ছিলেন। কিন্তু, কয়েক দিনের মধ্যেই তাদের সবাইকে সরিয়ে নিয়ে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয় সেখানে। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আটক করা হয় প্রায় সব শীর্ষ নেতাকে। জম্মু-কাশ্মীরের অর্থনীতি অনেকটাই পর্যটননির্ভর। কিন্তু, আগস্টের পর থেকেই চরম দুঃসময় চলছে এ খাতে।
লাদাখ অঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত সোনমার্গ। মধ্য কাশ্মীরের গান্ডেরবাল জেলার এই এলাকাটি নৈসর্গিক দৃশ্যের জন্য বিখ্যাত। পর্যটকদের সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা যায় এ এলাকাতেই। কিন্তু, আগস্টের পর থেকে রীতিমতো ভুতুড়ে শহরে পরিণত হয়েছে সোনমার্গ। বেশিরভাগ হোটেল-মোটেল খাঁ খাঁ করছে, রেস্তোঁরাগুলোরও ঝাপ বন্ধ, দোকানে না আছে ক্রেতা, না আছে বিক্রেতা।
সরকারি হিসাবমতে, গত জুন মাসে ১ লাখ ৭৪ হাজার পর্যটক কাশ্মীর ভ্রমণ করেছেন, জুলাইয়ে গিয়েছেন ৩ হাজার ৪০৩ জন বিদেশিসহ ১ লাখ ৫২ হাজার পর্যটক। তবে, আগস্টের পর থেকে পর্যটক আগমনের আর কোনো তথ্য নেই তাদের কাছে।