খবর৭১ঃ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) নিহত ছাত্র আবরার ফাহাদের হত্যার ঘটনায় আবরারকে হুমকি দেওয়া অমিত সাহাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। আবরারকে যে কক্ষে খুন করা হয়, সেই কক্ষের বাসিন্দা অমিত। রাজধানীর সবুজবাগের কালিবাড়ি থেকে সকাল ১১টায় গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। অমিত ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার আইনবিষয়ক উপসম্পাদক এবং পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র।
অমিতকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহাবুব আলম। তিনি জানান, ‘অমিতকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।’
শিবির সন্দেহে গত রবিবার রাতে আবরারকে হলের কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার কয়েকজন সদস্য। তাঁকে নির্যাতনের পর রাত আড়াইটার দিকে হলের সিঁড়ির পাশে আবরারকে ফেলে রাখে তারা। পরে ডাক্তারকে খবর দিলে তিনি এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে ৩ অক্টোবর একটি ফেসবুক পোস্টের কারণে আবরারকে ২০১১ নম্বর রুমে ডেকে সতর্ক করেছিলেন অমিত। হত্যাকাণ্ডের দিন রাসেল ও ফুয়াদ আবরারকে মারধর করার কথা বলেন। এটাকে তাঁদের ভাষায় ‘ট্রিটমেন্ট দিতে’ বলা হয়।
আবরারের মৃত্যুর পর দায়ের করা মামলায় ২০১১ নম্বর কক্ষের বাসিন্দা অমিতের নাম না থাকা নিয়ে চলছিল দেশজুড়ে বিতর্ক। সবশেষ এতে নতুন করে মাত্রা যোগ করে অমিতের একটি মেসেজ ফাঁস। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ওঠে। এতে দেখা যায়, হত্যাকাণ্ডের আগে আবরারের সহপাঠী এক শিক্ষার্থীকে অমিত মেসেঞ্জারে জিজ্ঞেস করেছেন, আবরার ফাহাদ কি হলে আছে? এ ধরনের একটি স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ১৭তম ব্যাচের ওই শিক্ষার্থী নিজের পরিচয় প্রকাশ করতে না চাওয়ায় তারই এক সিনিয়র এ বিষয়টি ফেসবুকে প্রকাশ করেন।