বুয়েট ছাত্রলীগ সম্পাদকসহ ১৯ জনকে আসামি করে মামলা

0
573
বুয়েট ছাত্রলীগ সম্পাদকসহ ১৯ জনকে আসামি করে মামলা

খবর৭১ঃ
নিহত আবরার ও অভিযুক্ত বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল। ফাইল ছবি

আবরার ফাদাদকে হত্যার দায়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শাখা ছাত্রলীগ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলকেসহ ১৯ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

সোমবার রাতে চকবাজার থানায় এ মামলাটি করেন নিহত আবরারের বাবা বরকতুল্লাহ।মামলার প্রধান আসামি বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল এবং দ্বিতীয় আসামি যুগ্ম সম্পাদক মুহতাসিম ফুয়াদ।

বরকতুল্লাহ জানান, সিসিটিভি ফুটেজ শনাক্ত করে এই ১৯ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।

এর আগে পুলিশ সিসিটিভি ভিডিও দেখে ছাত্রলীগের ৯ নেতাকে আটক করে।

আটকরা হলেন, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক ও নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একই বর্ষের মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, ছাত্রলীগ নেতা রবিন, মুন্না, তানভীরুল আরেফিন ইথান, অমিত সাহা, আল জামি।

কৃষ্ণপদ রায় জানান, ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ (সিসিটিভি), প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান এসব যাচাই-বাছাই করে আবরার হত্যাকাণ্ডে প্রাথমিকভাবে ৯ জনের সম্পৃক্ততা মিলেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে বিস্তারিত বলা যাবে।

আটক হওয়াদের মধ্যে ছয়জন আছেন ডিবি পুলিশের কাছে, দুইজন আছেন চকবাজার থানায় ও একজন আছেন শাহবাগ থানায়।

নিহত ফাহাদ বুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায়। তিনি থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে হওয়া চুক্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে রোববার রাতে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষের ভেতর ‘শিবির’ আখ্যা দিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ওই কক্ষটিতে ছাত্রলীগের নেতারা থাকতেন। তারা সবাই এখন পলাতক।

হলের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলের অনুসারী একদল নেতাকর্মী তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

হল শাখা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, ফাহাদকে জেরা ও পেটানোর ওই কক্ষে অমিত সাহা, মুজতাবা রাফিদ থাকেন। এছাড়াও ইফতি মোশারফ ওরফে সকালসহ তৃতীয় বর্ষের আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী ছিলেন।

ওই কক্ষে এসে দ্বিতীয় দফায় ফাহাদকে পেটান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক ও নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একই বর্ষের মেফতাহুল ইসলাম জিয়নসহ কয়েকজন। তারা সবাই মেহেদী হাসান রাসেলের অনুসারী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here