খবর৭১ঃ রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের শিক্ষার্থী সুরাইয়া আক্তার হত্যা মামলার রায় ঘোষণার দিন পিছিয়েছে। আসামি না আসায় রায় ঘোষণার দিন পিছিয়ে দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার নতুন দিন ঠিক করা হয়েছে ১০ অক্টোবর। এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হলে আজ রোববার রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েস।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মইনুল ইসলাম বলেন, কাশিমপুর কারাগারে থাকা আসামিকে আজ আদালতে পাঠানো হয়নি। তাই রায় পিছিয়েছে। সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) তাপস কুমার পাল বলেন, সুরাইয়া আক্তার হত্যা মামলার একমাত্র আসামি ওবায়দুল খানকে আদালতে না আনায় রায়ের দিন পিছিয়েছে।
তাপস কুমার পাল বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আদালতের কাছে এই মামলার একমাত্র আসামির সর্বোচ্চ সাজা দাবি করা হয়েছে। ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল সুরাইয়া আক্তার হত্যা মামলার একমাত্র আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু করেন আদালত। ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট ওবায়দুল খানের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয় সুরাইয়া আক্তার। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ আগস্ট তার মৃত্যু হয়। সুরাইয়া আক্তার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পরীক্ষা শেষে স্কুল থেকে বেরিয়ে সুরাইয়া আক্তার রাস্তা পার হওয়ার জন্য পদচারী-সেতুতে ওঠে। সেতুর মাঝামাঝি পৌঁছালে ওবায়দুল তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। সুরাইয়ার চিৎকারে স্কুলের শিক্ষার্থীরা ও কয়েকজন অভিভাবক ছুটে আসেন। এরপর তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার দিন হাসপাতালে সুরাইয়া আক্তারের মা জানিয়েছিলেন, তিনি ও তাঁর মেয়ে ইস্টার্ণ মল্লিকা মার্কেটের একটি দরজির দোকান থেকে সালোয়ার-কামিজ বানাতেন। যোগাযোগের জন্য তাঁর মোবাইল নম্বর রেখেছিলেন ওই দোকানের কর্মচারীরা। ওই নম্বরে ফোন করে দোকানের কর্মচারী ওবায়দুল তাঁর মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতেন। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি মোবাইল বন্ধ করে দেন। এরপর থেকে তাঁর মেয়েকে ওবায়দুল স্কুলের সামনে উত্ত্যক্ত করতেন। এ ঘটনায় ওই দিন সুরাইয়া আক্তারের মা তানিয়া বেগম বাদী হয়ে রমনা থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। পরে সুরাইয়া আক্তার মারা গেলে এটি হত্যা মামলায় পরিণত হয়। ওই বছরের ৩১ আগস্ট নীলফামারী থেকে গ্রেপ্তার হন আসামি ওবায়দুল। এরপর সুরাইয়া আক্তারকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে তিনি আদালতে জবানবন্দি দেন। ওই বছরের ১৪ নভেম্বর রমনা থানার পুলিশ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়।