খবর৭১ঃ প্রথমবারের মতো সশস্ত্র বাহিনীর মূল শাখায় বিভিন্ন সামরিক পদে নারীদের নিয়োগ দিবে সৌদি আরব। সম্প্রতি দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নারীদের সামরিক বাহিনীতে যোগ দেয়ার অনুমতি দিয়েছে।
সৌদি আরবের প্রভাবশালী পত্রিকা আশ-শারকুল আওসাতের বরাতে তুরস্কভিত্তিক সংবাদ সংস্থা ইয়েনি শাফাক এ খবর জানিয়েছে।
সৌদির ডি ফ্যাক্টো নেতা যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ‘ভিশন ২০৩০’ নামের সংস্কার কর্মসূচির আওতায় এসব উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার।
সৌদি নারীরা এখন থেকে দেশের সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন শাখায় সিপাহী থেকে শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা হিসেবে সামরিক কাজ করতে পারবেন বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এর মধ্যে সাধারণ সৈনিক, কর্পোরাল, সার্জেন্ট এবং বিমান, নৌ, বিমান প্রতিরক্ষা, কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র এবং সশস্ত্র বাহিনীর চিকিৎসা পরিষেবা অন্তর্ভুক্ত।
সৌদি আরবের জাতীয় প্রতিরক্ষা বিভাগের সাবেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান আল শেহরির আশ-শারকুল আওসাতকে বলেন, কিংডমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে নারীদের অন্তর্ভূক্তি সঠিক সময়ে নেয়া একটি বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ।
এর আগে গত বছর সৌদি সরকার প্রথমবারের মতো দেশটির নারীদেরকে নিরাপত্তা বাহিনীর মাদক-বিরোধী দফতর, অপরাধ তদন্ত এবং কারা ব্যবস্থাপনার মতো জননিরাপত্তা শাখায় কাজের সুযোগ দিয়েছিল।
এদিকে বৈবাহিক সম্পর্ক ছাড়াই সৌদি আরবের হোটেলে একসঙ্গে থাকতে পারবে বিদেশি নারী ও পুরুষ পর্যটকরা।
কট্টর ইসলামপন্থি দেশটি ভ্রমণ ভিসায় পর্যটকদের টানতে এ সুবিধা চালু করেছে। পাশাপাশি, সৌদি নারীদের জন্যেও শিথিল করা হয়েছে হোটেলে ওঠার নিয়ম।
এখন থেকে শুধু নিজের পরিচয়পত্র দেখিয়েই হোটেলের কক্ষ ভাড়া নিতে পারবেন তারা, পরিবারের কোনো পুরুষ সদস্যের অনুমতি নিতে হবে না।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটিতে বিবাহবহিভূর্ত সম্পর্ক নিষিদ্ধ। তবে তেলের ওপর নির্ভরতা কমাতে পর্যটনের ওপর জোর দিয়েছে দেশটি। এরই ধারাবাহিকতায় পারস্য উপসাগরীয় দেশটিতে বিদেশি পর্যটক নারী ও পুরুষ (অবিবাহিত) একসঙ্গে থাকতে পারবে।