খবর৭১,আমিনুল ইসলাম,পাইকগাছা (খুলনা)প্রতিনিধি:
এবার খুলনার পাইকগাছার কপিলমুনির একটি চায়ের দোকান থেকে মাদকদ্রব্য উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ, দোকান মালিকসহ এলাকাবাসীর পরষ্পর বিরোধী বক্তব্যে রহস্য উন্মোচনে রীতিমত ধু¤্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ দোকান মালিককে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দিয়েছে। এদিকে উক্ত ঘটনাটিকে পুঁজি করে এলাকার মহল বিশেষ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সংবাদকর্মীদের কাছে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে মূল ঘটনাটিকে আঁড়াল করতে চাইছে। এর আগে সম্প্রতি কপিলমুনির স্বর্ণপট্টির এক কারখানা থেকে থানা পুলিশ মাদক দ্রব্য উদ্ধার করে আসামীদের গ্রেফতারে ব্যর্থ হয়।
পুলিশ জানায়, গতবুধবার সন্ধ্যায় স্থানীয় নাছিরপুর এলাকার জনৈক আব্দুল্লাহ মোড়লের ছেলে বাবু মোড়ল(২৮) কে ১ পিচ ইয়াবাসহ হাতেনাতে আটক করে। এসময় তার দেয়া তথ্যমতে সদরের জনৈক লিয়াকতের চায়ের দোকানের বেঞ্চির নীচ থেকে সিগারেটের প্যাকেটে ছোট ৬ পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করে। পুলিশ ঐ রাতেই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দেয়। ধারণা করা হচ্ছে, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বা অন্য যেকোন কারণে বাবু গাঁজাসহ প্যাকেটটি সেখানে রেখেছিল।
এদিকে বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে মহলবিশেষ বিষয়টি সম্পূর্ণ স্থানীয় পুলিশের ঘাড়ে চাপাতে নানা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের দাবি,পুলিশ গাঁজার প্যাকেটটি সেখানে রেখে চা দোকানির কাছ থেকে ফায়দা লুটেছে। এব্যাপারে চা দোকানের মালিক লিয়াকতের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, কখন কারা তার দোকানের বেঞ্চের নীচে প্যাকেটটি রেখেছিল তা তিনি জানেননা। এমনকি পুলিশ রাতেই তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়। এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ আজিজ বিশ্বাস জানান, বিষয়টি সম্পূর্ণ সাজানো ও ষড়যন্ত্রমূলক। বিষয়টি বুঝতে পেরে পুলিশ তাকে কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই ছেড়ে দেয়।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারী এটিএসআই নীল রতন দাশ কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়িতে যোগদানের পর থেকে এলাকায় মাদক দ্রব্য বিক্রেতা ও খোরদের গ্রেফতারে ব্যাপক অভিযান শুরু করেন। ইতোমধ্যে তিনি মাদকদ্রব্য বিক্রেতাদের স্থানীয় প্রায় সবগুলো মাদক সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিতে সক্ষম হয়েছেন। মাদক নির্মুলে তার এ তৎপরতায় মাদক সংশ্লিষ্ট অনেকের ক্ষতি হওয়ায় তার বিরুদ্ধে তারা নানাবিধ কুৎসা রটনা অব্যাহত রেখেছেন। সর্বশেষ বুধবারের ঘটনায় তাকে জড়িয়ে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগের বিষয়টি তারই বহিঃপ্রকাশ মাত্র বলে মনে করছেন সচেতন এলাকাবাসী।
খবর৭১/জি: