খবর৭১ঃ
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-পথে তীব্র স্রোতের বিপরীতে ফেরি-লঞ্চ চলাচল করতে না পারায় রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ রুটের ১৬টি ফেরির মধ্যে ৪/৫টি কে-টাইপ ফেরিযোগে জরুরিভাবে কিছু পরিবহন পারাপার করা হলেও শনিবার দুপুরে তা বন্ধ হয়ে যায়।
জানা গেছে, পাটুরিয়া রুটের দৌলতদিয়া প্রান্তে পদ্মায় পানি কিছুটা কমলেও কমেনি স্রোতের তীব্রতা। এতে ফেরি-লঞ্চ চলাচলে যেমন বিঘ্ন ঘটছে তেমনি ঘাট এলাকার ভাঙ্গন তীব্র হচ্ছে। ফেরি-লঞ্চ চলাচল বিঘ্ন ঘটায় উভয় প্রান্তে পারের অপেক্ষায় থাকা যানবাহনের সংখ্যা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। লঞ্চ যাত্রীরা বাধ্য হয়ে ফেরিতে পারাপার হলেও অপেক্ষামান যানবাহন মালিক-শ্রমিকরা পড়েছে বিপাকে।
দৌলতদিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিশেষ করে ট্রাক চালকদের বিকল্প পথ হিসেবে বঙ্গবন্ধু সেতু ব্যবহারের পরামর্শ দিলেও তা অনেকেই মানছে না। ফলে, উভয় ঘাটে পারের অপেক্ষায় থাকা যানবাহনের সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ফেরি কর্তৃপক্ষ জানান, নদীতে সৃষ্ট স্রোতের বিপরীতে অব্যাহতভাবে চলতে গিয়ে বহরের ছোট-বড় ১৬টি ফেরির অধিকাংশ যন্ত্রাংশে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। যে কয়টি ফেরি সচল আছে তাও মূল চ্যানেলে চলতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তীব্র স্রোত ফেরিগেুলোকে মূল চ্যানেল থেকে ভাটির দিকে ভাসিয়ে নেওয়ায় গন্তব্যে পৌঁছুতেও অতিরিক্ত প্রায় দ্বিগুণ সময় ব্যয় হচ্ছে। যার ফলে, কাংখিত যানবাহন পারাপার সম্ভব হচ্ছে না।
ঘাট কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা জানান, প্রবল স্রোত ও ঘুর্ণিপাতে নদীর তল দেশের মাটি সরে যাওয়ায় দৌলতদিয়া প্রান্তে ভাঙ্গনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে যে কোন সময় নৌ-দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে লঞ্চ চলাচল সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পূনরায় তা চলাচল শুরু হবে।
ঘাট পরিদর্শন শেষে জেলা পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ওপর কারো কোন হাত নেই। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় ফেরি সার্ভিস বন্ধ রেখেছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। তিনি বিকল্প পথ ব্যবহার করার জন্য যানবাহন চালক ও যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ জানান।