খবর৭১ঃ দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান অভিযান আরও জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘একটু অপেক্ষা করুন গরম খবর পাবেন। যখন জানাবো তখনই বুঝবেন কি ধরনের খবর। চাঁদাবাজ, ক্যাসিনো পরিচালনাকারী ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান অভিযান আরও জোরদার করা হবে।’
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জামিন পেলে খালেদা জিয়া বিদেশে যাবেন এ কথা বিএনপির যে সদস্য বলেছেন তিনি আমার সঙ্গেও দেখা করেছিলেন। তিনি আমাকেও একই কথা বলেছেন। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকেও জানাতে বলেছিলেন। আমি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। জামিন দেওয়ার এখতিয়ার আসলে আদালতের। আদালতকে জামিন দেওয়ার কথা আমরা কীভাবে বলবো। বিচার বিভাগ তো স্বাধীন।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন আদালত তাকে জামিন দেবেন তখন পক্ষে-বিপক্ষে কথা হবে। খালেদা জিয়াকে জামিন দেবেন কিনা সেটা বিচারকের বিষয়। খালেদা জিয়ার সঙ্গে তো আমাদের কোনও বিরোধ নেই।’ এ সময় বিএনপির আন্দোলনের হুমকির জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ভেতরে ভেতরে ওনারা সরকারের কাছে জামিন চাইলেও বাইরে বলছেন আন্দোলন করে উনারা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবেন। আমি চাই তারা আন্দোলন করুক। আমি তো তাদের আন্দোলনের ছিটেফোঁটাও দেখি না। বিদেশে বসে আন্দোলনের কর্মসূচি দিলে আন্দোলন হয় না। যদি আন্দোলন করার সক্ষমতা থাকতো তাহলে খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের পর পরই আন্দোলন হতো।’
আগামী সম্মেলনে পারফর্মেন্সের ভিত্তিতে দলের নেতা নির্বাচন করা হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সম্মেলনে দলীয় কর্মীদের স্বচ্ছতাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। যারা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত, যাদের বিরুদ্ধে জনগণের অভিযোগ আছে, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি সেসব লোককে আমরা নেতৃত্বের পদে বসাবো না। এটাই আমাদের তৃণমূল পর্যায়ের সম্মেলন করার লক্ষ্য।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের সাংগঠনিক সফর শুরু হয়েছে। ২১ সেপ্টেম্বর থেকে জেলাওয়ারি প্রতিনিধি সম্মেলন হয়েছে। ২০১২ সালের আগে যেসব জেলা-উপজেলা কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে, সেখানে আগে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর অন্যগুলো হবে। আমাদের ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সব শেষ করার টার্গেট রয়েছে।’