খবর৭১ঃ
মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকেঃ আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন অনুষ্ঠিত ফাজিল (পাস) ২য় বর্ষের পরীক্ষায় অন্যের হয়ে প্রক্সি পরীক্ষা দিতে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক বছরের কারাদন্ড হয়েছে ভূয়া (প্রক্সি) পরীক্ষার্থী মো. রাকিবুল ইসলামের (২৪)। গতকাল বুধবার সকালে সৈয়দপুর উপজেলার সোনাখুলী মুন্সিপাড়া কামিল মাদ্রাসার পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্যের হয়ে পরীক্ষা দেয়ার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকারের হাতে ধরা পড়ে ওই ভূয়া পরীক্ষার্থী।
পরে আদালত বসিয়ে প্রক্সি পরীক্ষা দেয়ার অপরাধে ভূয়া পরীক্ষার্থী হিসেবে এক বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়। গতকালই তাকে নীলফামারী জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আদালত সূত্র জানায়, নীলফামারী জেলা সদরের লক্ষীচাপ ইউনিয়নের ময়মনসিংহ পাড়ার মোফাজ্জল হোসেনের পুত্র মো. রাকিবুল ইসলাম। সে সুমন ইসলাম নামে ফাজিল (পাস) ২য় বর্ষের পরীক্ষা দিয়ে আসছিল। গতকাল ২য় বর্ষের ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষা দিতে আসে সে। এদিন পরীক্ষা চলাকালে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) পরিমল কুমার সরকার ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমানকে নিয়ে কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি কেন্দ্রের একটি কক্ষে গেলে ওই ভূয়া পরীক্ষার্থী তাদের দেখে নড়ে চড়ে বসে। এ সময় তার আচরণে সন্দেহ হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) পরিমল কুমার সরকার তার নাম জানতে চাইলে সে জানায়, সুমন ইসলাম।
কিন্তু পিতা ও মাতার নাম বলতে বলা হলে সে নিজের পিতা মাতার নাম বলে। আর এতেই ধরা খায় ওই পরীক্ষার্থী। এ ঘটনায় তাকে সাথে সাথে আটক করা হয়। পরে তাৎক্ষণিক বিচারের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। আদালতে সে বন্ধু সুমনের পিতা মাতার পরামর্শে সুমন ইসলামের নামে নিজের ছবি বসিয়ে পরীক্ষা দিয়ে আসছিল বলে স্বীকারোক্তি দেয়। পরে ভূয়া পরীক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষা দেয়ার অপরাধে তাকে এক বছরের কারাদন্ড দেন আদালত। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সোনাখুলী মুন্সিপাড়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আ.ব.ম মনসুর আলী বলেন, সে নিজের ছবি বসিয়ে সুমন ইসলাম নামে পরীক্ষা দিয়ে আসছিল। ওই ছবি দিয়ে প্রাইভেট ছাত্র হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করে। পরে ওই নামেই প্রবেশপত্র এলে পরীক্ষা দেয় সে। কিন্তু ফাজিল (পাস) ২য় বর্ষ পরীক্ষার শেষ দিনে ধরা খায় সে।