খবর৭১ঃ নিষিদ্ধ আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৩ নেতার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার আসামিরা আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার আসামিদের পাঁচ হাজার টাকা করে মুচলেকায় জামিনের এ আদেশ দেন।
জামিন পাওয়া অপর দুই আসামি হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
আদালত সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্ট বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৯ নেতার বিরুদ্ধে ঢাকার হাকিম আদালতে এ মামলাটি করা হয়। ওইদিনই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
পরে এ মামলায় ওই তিন আসামি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। হাইকোর্ট তাদের ছয় সপ্তাহের জামিন দিয়ে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন। সে অনুসারে আগামী ৭ অক্টোবর আসামিদের জামিনের মেয়াদ শেষ হতো। এরই মধ্যে আসামিরা নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- বিএনপির উপদেষ্টা মো. আমান উল্লাহ আমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বুয়েটের বহিষ্কৃত ও সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা ও ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক ভূঁইয়া।
মামলার এহাজারে বলা হয়, চলতি বছরের ২৩ জুলাই মামলার বাদী এবি সিদ্দিকীর বাসায় একটি রেজিস্ট্রি চিঠি পাঠান বুয়েট শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা।
ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘এইবার তোকে মৃত্যুর পরোয়ানা পাঠালাম। তোর (এবি সিদ্দিকী) পরিবারসহ সবাইকে খুন করব। তোদের ভোটবিহীন অবৈধ প্রধানমন্ত্রী এবং শেখ মুজিবের পরিবারের সবাইকে আগামী ১৫ আগস্টে আইএস দিয়ে খুন করব। বোমা মেরে শেখ মুজিবের মাজার উড়িয়ে দিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বে গঠন করা হবে নতুন বাংলাদেশ। যেখানে থাকবে না জয় বাংলা, থাকবে না মুজিব বাহিনীর মুজিব কোর্ট, শুধু থাকবে নতুন বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।’
‘আমাদের নেতা তারেক রহমান আইএসের সঙ্গে চুক্তি করে আইএসসহ আমাকে (হাফিজুর রহমান রানা) তোদের খুন করার জন্য পাঠিয়েছে। অবৈধ সরকারকে ১৫ আগস্টে শেখ মুজিবের মতো খুন করা হবে। আমি (রানা) দেশের নেতাদের সঙ্গে পরিকল্পনা করে তোদের সবার (খুনের) তালিকা করে আইএসের কাছে পাঠিয়েছি। এবার তোরা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাক।’