খবর৭১ঃ ক্যাসিনোর সম্রাটসহ এক’শ জনের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার এ বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়ে কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে সংস্থাটি। সোমবার দুদকের এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
দুদকের সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে র্যাব। অভিযানের প্রথম দিনেই অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার হন খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। এরপর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ক্যাসিনো ও জুয়াবিরোধী অভিযানে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত তদারক কর্মকর্তা হিসেবে থাকবেন মহাপরিচালক সাঈদ মাহবুব খান।
এ বিষয়ে মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেন, ক্যাসিনোর মাধ্যমে যারা অবৈধভাবে আয়বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে
অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।
অনুসন্ধানে কাদের নাম উঠে এসেছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি দুদুক।
সংস্থাটির উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সাম্প্রতি ক্যাসিনোকাণ্ডে যাদের নাম এসেছে, তাদের সবাইকে অনুসন্ধানের আওতায় আনা হবে। এ সংখ্যা ১০০ জনের মতো হতে পারে।
সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাট, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, মোহামেডান ক্লাবের ডিরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভূঁইয়া, কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের প্রেসিডেন্ট শফিকুল আলম ফিরোজ, কাউন্সিলর মমিনুল হক সাইদসহ তাদের সব সহযোগীকে এই অনুসন্ধানে আওতায় আনা হবে।
ইতিমধ্যে গণমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রকাশিত সব খবর বিশ্লেষণ ও নিজস্ব গোয়েন্দা ইউনিটের মাধ্যমে নেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে।