খবর৭১ঃ টেলিস্কোপ দিয়ে আগামী ২০৩০ সালের পর দরিদ্র মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘হার্নেসিং ব্লকচেইন টেকনোলজি ফর ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পাশাপাশি চলমান মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ শেষে এর প্রভাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে। যা পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্যেই ডাবল ডিজিট প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, পদ্মাসেতু চালু হলে এক শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বে। এ জন্য উদ্ভাবনে গুরুত্ব দিতে হবে ও নতুন প্রযুক্তি আনতে হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব চলে এসেছে। এই সময়ে রোবোটিকস, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, বায়োটেকনোলজি, ন্যানো টেকনোলজি ভ‚মিকা রাখবে। সেখানে ব্লকচেইন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে ভ‚মিকা রাখবে। এর মাধ্যমে কিন্তু চাকরি চলে গেলেও আবার নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হবে, মানবসম্পদ সমৃদ্ধ হবে। শিল্পখাতে দ্রুত উন্নতি আনতে হবে, জনমিতির সুবিধা নিতে হবে। অবিশ্বাস্য গতিতে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী অর্থ-বৈভবে আকর্ষণ বোধ করেন না। দেশের মানুষের ভালোবাসা তাকে আকৃষ্ট করে। তিনি সাধারণ মানুষের উন্নতিতে কাজ করেন।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর মনোমোহন প্রকাশ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতিতে বাংলাদেশের এখন বিশ্বেও রোল মডেল। স¤প্রতি এডিবির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অগ্রগামী। বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি আট শতাংশ হবে। এ ছাড়া রেমিট্যান্স প্রবাহ বেশ ভালো। প্রতি বছর শ্রমশক্তিতে ২০ লাখ তরুণ যুক্ত হচ্ছে। জনমিতির সুবিধা নিতে পারলে উন্নতি আরও বেগবান হবে।’
এ ছাড়া সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের বাংলাদেশকে মডেল বলেও মনে করেন এডিবির এই কান্ট্রি ডিরেক্টর।
বৈশ্বিকভাবে ব্লকচেইন বেশ কার্যকর প্রযুক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এটি কার্যকর করলে সব ক্ষেত্রেই কার্যকর সুশাসন,‘ স্বচ্ছতা এবং পরিচালন খরচ কমিয়ে আনতে পারবে। এ প্রযুক্তি আর্থিক খাত, পুঁজিবাজার, স্বাস্থ্য ও সেবা খাতে বেশি সুবিধা দেবে। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে একবার লেনদেন করলে কেউ সেটি ফেলতে পারবে না। ফলে কারসাজির সুযোগ থাকবে না।’
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহি চৌধুরী বলেন, ‘ব্লকচেইন টেকনোলজির বাস্তবায়ন হলে এটি আর্থিক খাতে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। ক্রস বাউন্ডারি লেনদেনের ক্ষেত্রে এটি বেশ কার্যকর হতে পারে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব ফরিদা নাসরিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।