খবর৭১ঃ একে মেয়ে। তার উপর গায়ের রং কালো। কিছুতেই তাকে মেনে নিতে পারছিল না বাবা। এ নিয়ে মাকেও প্রায়শই খোঁটা শুনতে হতো। শেষমেশ সাড়ে ৩ মাসের মেয়েকে আছড়ে মেরে ফেললো বাবা।
উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের খাঁ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। শিশুটির নাম ঝিকড়া। তার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছেন পুলিশ। বাবা মনিরুলকে খোঁজা হচ্ছে। এ মুহূর্তে তার বাবা-মাও পলাতক।
৩ বছর আগে সোনিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় মনিরুলের। সোনিয়ার বাবা ইসমাইল ঘরামি জানান, বিয়েতে জামাইয়ের চাহিদা মতো গয়না, টাকা সব দেয়া হয়। তবুও আরও টাকার দাবিতে মেয়ের উপরে নির্যাতন চালাত জামাই। কন্যা সন্তান জন্ম দেয়ার পর অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে গিয়েছিল।
সোনিয়া বলেন, কেন মেয়ে হলো, এজন্য আমাকেই শুধু দায়ী করত স্বামী। শ্বশুর-শাশুড়িরও তাতে মদত ছিল।
তিনি জানান, শনিবার এসব নিয়েই ঝগড়াঝাটি চলছিল। তাকে কষে কষে চড় থাপ্পড় মারছিল মনিরুল। বাড়ি থেকে বের করে দেবে বলে শাসায়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হঠাৎ মেয়েটাকে তুলে আছাড় মারে মাটিতে।
কান্নায় ভেঙে পড়ে সদ্য সন্তানহারা মা বলেন, শব্দটুকুও বেরোয়নি ঝিকড়ার মুখ থেকে। এর আগেই সব শেষ। মেয়েটা দুনিয়া থেকে চিরতরে বিদায়।
পুলিশের ভাষ্য, ঘটনা ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল মনিরুল। নিকটস্থ হাসপাতালে গিয়ে সে বলে, কোল থেকে পড়ে গিয়ে মারা গেছে মেয়েটি। তবে ততক্ষণে আসল ঘটনা চাউর হয়ে যায়। গ্রামবাসীই আমাদের খবর দেন। কিন্তু আমরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই শিশুর দেহ ফেলে পালায় ঘাতক। সেই সঙ্গে তার বাবা-মাও।