খবর৭১ঃ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬ বছর ভারতে নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালে দেশে ফিরেই গণতন্ত্র, ভোট ও ভাতের অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য আন্দোলন করেন। শেখ হাসিনা ১৯৮৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে ৩টি আসনে জয়লাভ করে বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচিত হয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এরপরই দেশে সামরিক আইন প্রত্যাহারের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। তিনি এরশাদ বিরোধী গণআন্দোলনে নেতৃত্ব দেন।
গণআন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালে ৬ ডিসেম্বর এরশাদ পদত্যাগে বাধ্য হয়।
শনিবার ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তেন বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ আয়োজিত মাদার অব হিউম্যানিটি, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৩ তম জন্মদিনে ” বিশ্বনেতার অনন্য উচ্চতায় শেখ হাসিনা” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আরও বলেন, ‘উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ ও আধুনিক ডিজিটাল যুগের স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ হাসিনা পানি চুক্তি, স্থল সীমান্ত চুক্তি, সমুদ্র সীমা মামলায় জয়লাভ, মহাকাশ জয় করে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে বসিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও দূরদর্শিতায় ধারাবাহিকভাবে উচ্চহারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, বিদুৎ উৎপাদন, পদ্মাসেতু ও কর্ণফুলী টানেলের মত মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে দেশের অর্থনীতিতে বইছে সুবাতাস ও গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হয়েছে। ‘
চলমান দুর্নীতির বিরোধী অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা দলে অনুপ্রবেশকারী দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। এবার দুর্নীতিবাজরা দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। মনে রাখতে হবে এর আগে প্রধানমন্ত্রী শক্ত হাতে বিএনপি-জামাত সৃষ্ট জঙ্গিবাদকে দেশ থেকে নির্মূল করেছেন।
বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশ্বনেতার অনন্য উচ্চতায় শেখ হাসিনা শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক সিরাজুল হক আলো।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার।