ক্যাসিনো সামগ্রী আমদানি বন্ধ করা হয়েছেঃ এনবিআর প্রধান

0
522
ক্যাসিনো সামগ্রী আমদানি বন্ধ করা হয়েছেঃ এনবিআর প্রধান

খবর৭১ঃ দেশে ক্যাসিনো সামগ্রী আমদানি বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রধান মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়া। বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালানোর আগে আমাদের জানা ছিল না যে, দেশে জুয়া খেলা চলছে। এটি নজরে আসার পরপরই আমরা সংশ্লিষ্ট শুল্ক কর্মকর্তাদের ক্যাসিনো সামগ্রী খালাস না করার মৌখিক নির্দেশ দিয়েছি। এখন কার্যত ক্যাসিনো সামগ্রী আমদানি বন্ধ রয়েছে। আমদানি নীতিতে আমদানি-নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় ক্যাসিনো যন্ত্রপাতি নেই। তবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনে, এমন কোন পণ্য আমদানি করা যাবে না বলে সংবিধানে উল্লেখ আছে। সেই ধারা অনুযায়ী আমরা আপাতদৃষ্টিতে ক্যাসিনো সামগ্রী আমদানি বন্ধ করেছি। তবে চূড়ান্তভাবে এর আমদানি বন্ধের জন্য আমদানি নীতি সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে।’

ক্যাসিনো সামগ্রী চূড়ান্তভাবে আমদানি বন্ধের জন্য আমদানি-নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় ক্যাসিনো যন্ত্রপাতি যুক্ত করার অনুরোধ জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে তিনি আগামী সপ্তাহে চিঠি দেবেন বলে জানান। তিনি জানান, অবৈধ ক্যাসিনো বন্ধ করা কিংবা সেখানে মানুষের আনাগোনা কমানো রাজস্ব প্রশাসনের কাজ নয়। তবে ২০০৯ থেকে এখন পর্যন্ত ক্যাসিনো সামগ্রীর যন্ত্রপাতি কারা আমদানি করেছে তা খুঁজে বের করা হচ্ছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর এ নিয়ে কাজ করছে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, ‘শুল্ক গোয়েন্দার তদন্তে ইতোমধ্যে বেরিয়ে এসেছে ক্যাসিনো সামগ্রী নামে কেউ কেউ এসব যন্ত্রপাতি সরাসরি আমদানি করেছে। আবার কেউ এসব যন্ত্রপাতি অন্য নামে আমদানি করেছে। আমরা আমদানিকারকদের বিল অব এন্ট্রি পরীক্ষা করছি। অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে গ্রেফতারকৃতরাসহ ৮ জন এবং তাদের পরিবারের সদস্য মিলে মোট ২০ জনের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। এর মধ্যে ২/১ জন ছাড়া বাকিদের ব্যাংকের লেনদেন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরও ১০ থেকে ১২ জনের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যাদের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে তাদের কর ফাঁকি ও অর্থ পাচারের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ক্যাসিনো অভিযান পরিচালনার সময় যেসব নগদ টাকা পাওয়া গেছে, সেসব টাকা আর করের আওতায় আনার সুযোগ নেই। সেগুলো বাজেয়াপ্ত করা হবে। তবে ব্যাংকে যে টাকা পাওয়া যাবে, সেখান থেকে আইন অনুযায়ী কর আদায় করা হবে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here