খবর৭১ঃ
মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর থেকেঃ সৈয়দপুরে পৃথক দুটি ঘটনায় শিশুসহ দুইজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে পানিতে ডুবে শিশু ও সড়ক দূর্ঘটনায় ইপিজেড শ্রমিকের মৃত্যু হয়। বুধবার রাতে ও গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এসব ঘটনা ঘটে। জানা যায়, বুধবার সকালে শহরের মুন্সিপাড়া জোড়াপুকুর এলাকার উর্দূভাষীদের নাসিম ক্যাম্পের বাসিন্দা শাহাজাদা ওরফে সাজ্জাদের শিশুপুত্র ফেরদৌস (৮) বৃষ্টিতে গোসল করার জন্য বাসা থেকে বের হয়।
কিন্তু দুপুর পর্যন্ত সে বাড়িতে ফিরে না আসায় তার বাবা মাসহ বাড়ির লোকজন ফেরদৌসের সন্ধান শুরু করে। এভাবে তাকে রাত ভর খোঁজা হয়। তাকে না পেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে আবারও বাবা সাজ্জাদ ও মা পুতুল পুত্রের সন্ধানে পাশ্ববর্তি পানির ট্যাঙ্কির সামনে গেলে পানি ভর্তি একটি গর্তের ভিতের শিশু ফেরদৌসের মাথা দেখতে পায়। পরে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এলাকাবাসীর ধারনা গোসল করতে গিয়ে শিশু ফেরদৌস ওই গর্তে পড়ে যায়। পড়ে সেখান থেকে উঠতে না পেরে মারা যায় সে। ফেরদৌস ক্যাম্পে পরিচালিত হওয়া একটি স্কুলের শিশু শ্রেণির ছাত্র ছিল। এর আগে বুধবার রাতে সৈয়দপুর বাইপাস সড়কের বসুনিয়াপাড় মোড় এলাকায় ক্ষত বিক্ষত অবস্থায় জয়দেব রায় (৩০) নামে এক যুবককে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার করে। পড়ে তাকে চিকিৎসার জন্য সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যায় ওই যুবক। সৈয়দপুর থানা ও হাসপাতাল সূত্র জানায় মৃত জয়দেব নীলফামারী জেলার সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের আরাজি চড়াইখোলা গ্রামের জগদিশ রায়ের পুত্র।
সে উত্তরা ইপিজেডের কট বিডি লিঃ এর শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিল। স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. মাহমুদুল হাসান জানান, ওই যুবককে আহত অবস্থায় উদ্ধারের সময় স্থানীয়রা কিছুই জানাতে পারেনি তার আহত হওয়ার কারণ। তার শরীর ক্ষত বিক্ষত ছিল। এব্যাপারে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. কামাল হোসেনর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, সড়ক দূর্ঘটনা নাকি অন্য ঘটনায় আহত হয়েছে ওই যুবক তা বলা যাচ্ছে না। তবে তার শরীর ক্ষত বিক্ষত ছিল বলে জানান তিনি। জানতে চাইলে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহজাহান পাশা বলেন, গতকালই লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এটি দূর্ঘটনা নাকি অন্য কিছু তা তদন্ত রিপোর্ট পেলেই জানা যাবে।