খবর৭১ঃ বরগুনার তালতলীতে গুচ্ছগ্রামের ঘর পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ইউপি সদস্য শহিদ আকনের নাম ভাঙিয়ে স্থানীয় জসিম উদ্দিন নামের কথিত নেতা জনপ্রতি পাঁচশ টাকা করে উত্তোলন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউপি সদস্য শহিদ আকন সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড নিদ্রারচর গ্রামের আশ্রায়হীনদের জন্য ২০১৮-১৯ অর্থবছরে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করা হয়। গুচ্ছগ্রামের নির্মাণকাজ সম্প্রতি শেষ হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য শহিদ আকনকে আশ্রায়হীন পরিবারগুলোর তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ দেন। সেই সুবাদে স্থানীয় একটি অসাধু প্রভাবশালী মহলের যোগসাজসে জসিম উদ্দিন নামের ওই কথিত নেতা ইউপি সদস্য শহিদ আকনের নাম ভাঙিয়ে তার অজান্তে রেজিস্ট্রেশনের কথা বলে ৫০ পরিবারের কাছ থেকে ঘর প্রতি পাঁচশ টাকা করে উত্তোলন করেন।
সরেজমিনে গিয়ে পরিবারগুলোর মধ্যে পাখি বেগম, মিনারা বেগম, মুক্তা ও বড়ু’র সাথে কথা বলে জানা যায়, গুচ্ছগ্রামে ঘর দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ইউপি সদস্য শহিদ আকনের কথা বলে তাদের কাছ থেকে জসিম নামের এক লোক পাঁচশ টাকা ও কাগজপত্র নিয়েছে। পরে ওই পরিবারগুলো কাগজপত্র ও টাকার দেওয়ার কথা ইউপি সদস্যের কাছে জানালে তিনি বলেন ‘আমি তো এ ব্যাপারে কিছুই জানিনা।’
ইউপি সদস্য শহিদ আকন বলেন, ‘আমার নাম ভাঙ্গিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের কাছ থেকে ঘর পাইয়ে দেওয়ার নামে স্থানীয় প্রভাবশালীদের যোগসাজশে জসিম উদ্দিন টাকা উঠিয়ে নিচ্ছে। ওই মহলের সাথে আমার রাজনৈতিক বিরোধ রয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাকে বিপদে ফেলার জন্য এমনটা করছেন তারা।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জসিম উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো টাকা তুলেনি বলে ফোনের লাইনটি কেটে দেন।
এ ব্যাপারে তালতলী উপজেলা নিবার্হী অফিসার দীপয়ণ দাস শুভ বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।