১০ হাজার কোটি টাকায় রিংরোড হচ্ছে যানজট কমাতে

0
610
১০ হাজার কোটি টাকায় রিংরোড হচ্ছে যানজট কমাতে

খবর৭১ঃ ঢাকার যানজট নিরসন ও ঢাকার ওপর দিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলে পরিবহন চলাচল সহজ করতে আউটার রিংরোড নির্মাণ করবে সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা। বুধবার সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।

ওই বৈঠকে ২০ লাখ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) বুকলেট এবং ২০ লাখ লেমিনেশন ফয়েল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। এতে ব্যয় হবে ৪১ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে বলেন, আউটার রিংরোড নির্মাণ প্রকল্পটি একটি কাঙ্ক্ষিত প্রকল্প। আগামী ২০২০ সালে শুরু হয়ে ২০২৩ সালে শেষ হবে। এ প্রকল্প পিপিপি পদ্ধতিতে জাপানি জি টু জি ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এটি হয়ে গেলে ঢাকা শহরে চারপাশ বৃত্তাকারে ঘুরা যাবে। প্রকল্পটির আয়তন ১৩৪ কিলোমিটার। এরমধ্যে ৪৮ কিলোমিটারে অনুমোদন আজকে দেয়া হয়েছে। এর জন্য ব্যয় হবে ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা।

প্রকল্পের প্রাথমিক জরিপ অনুযায়ী, প্রস্তাবিত আউটার রিংরোডের এলাইনমেন্টের কিছুটা সংশোধন করা হয়েছে। এ রুটটি হচ্ছে হেমায়েতপুর-কালাকান্দি-তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু-মদনপুর-ভুলতা (ঢাকা বাইপাস হয়ে)-কড্ডা (গাজীপুর)-বাইপাইল (ঢাকা ইপিজেড)-হেমায়েতপুর। যার দৈর্ঘ্য প্রায় ১৩০ কিলোমিটার। এর মধ্যে প্রায় ৪৬ কিলোমিটার সড়ক নতুন করে নির্মাণ করতে হবে এবং অবশিষ্ট ৮৪ কিলোমিটার বিদ্যমান সড়ক উন্নয়ন করতে হবে।

সূত্র জানায়, নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে উত্তর ও পূর্বাংশের সংযোগ স্থাপন করবে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা থেকে মুন্সিগঞ্জ ও মাওয়া হয়ে যাত্রাবাড়ী দিয়ে অসংখ্য যানবাহন ঢাকা মহানগরীতে প্রবেশ করবে। ফলে রাজধানীতে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।

এতে সংশোধিত এসটিপিতে প্রস্তাবিত এলাইনমেন্টের মধ্যে আউটার রিংরোডের দক্ষিণ অংশ (হেমায়েতপুর-কালান্দি-মদনপুর) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে এ অংশ অতিদ্রুত নির্মাণ করার সুপারিশ করা হয়েছে। এ অবস্থা বিবেচনা করে আউটার রিংরোডের দক্ষিণাংশের প্রায় ৪৮ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের সুপারিশ করা হয়েছে।এর মধ্যে হেমায়েতপুর (ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক) থেকে কালান্দি (ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক) যার দৈর্ঘ্য প্রায় ১৮ কিলোমিটার, কালান্দি থেকে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক, যার দৈর্ঘ্য প্রায় ১৮ কিলোমিটার এবং শীতলক্ষ্যা সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক থেকে মদনপুর (ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক) যার দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ কিলোমিটার।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, গ্রামীণফোনের সঙ্গে সরকারের ভুল বোঝাবুঝি নিরসন হচ্ছে। আদালতের বাইরে গ্রামীণফোনের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের যে ভুল বোঝাবুঝি ছিল সেটা নিরসনের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে শিগগিরই ভালো একটা সিন্ধান্তে পৌঁছাতে পারব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here