মংহাইথুই মারমা,বান্দরবান প্রতিনিধিঃ
আইন অমান্য করার সে শিক্ষক, বান্দরবানে রুমা উপজেলার জুরবারং পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিভাবকের অভিযোগ। গত শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিদ্যালয় অবসর সময়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছনতা করা কাজে ফাঁকি দেওয়ার তৃতীয় শ্রেণি ছাত্র পিথে বেত্রাঘাত আনে।
সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের গত ১৩ই জানুয়ারী ২০১১ তারিখে জনস্বার্থে দায়ের করা একটি রীট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্কুল এবং মাদ্রাসায় সব ধরনের শারীরিক শাস্তি অসাংবিধানিক ও মানবাধিকারের লংঘন ঘোষণা করে রায় প্রদান করেন। বিচারপতি মো: ইমান আলী ও বিচারপতি মো: হাসান আরিফের সমম্বয়ে গঠিত একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দেন। এই রায়ে উল্লেখ করা হয়,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাথর্ীদের শিক্ষক দ্বারা কোন রকম শারীরিক শাস্তি এবং নিষ্ঠুর,অমানবিক,অপমানকর আচরণ শিশু শিক্ষাথর্ীদের জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতা সাংবিধানিক অধিকার লংঘন করে। বিশেষ করে তা বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭,৩১,৩২,৩৫(৫) অনুচ্ছেদ ও মানবাধিকারের পরিপন্থী।
উল্লেখ্যে,২১শে এপ্রিল ২০০৮ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপÍরের মহাপরিচালক শিশুদের শারীরিক,মানসিক নিযার্তন,কঠোরতা ও তিরস্কারসহ সব ধরনের অবাঞ্ছিত আচরণ থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা প্রদান করতে এবং বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সহায়তায় এ বিষয়ে পারিবারিক পযার্য়ে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করতে অনুরোধ জানিয়ে একটি পরিপত্র জারী করেছেন এবং ২১ এপ্রিল ২০১১ শারীরিক ও মানসিক শাস্তি রহিত করা বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে আইনসেল করেছেন।
অথচ,সরকারি শিক্ষক হিসেবে সচেতনার না থাকার আইনের নীতিমালা ভঙ্গ করে চলেছে,সে অবুঝ ও অশিক্ষিত ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক। তাই আইনের নীতিমালা ভঙ্গ করার তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায়, হ্যাপিহিল পাড়ার তনখুপ বম এর ছেলে আলমন বম উক্ত বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীর। বয়স তার ৯বছর। শ্রেণি কক্ষে কাজের ফাঁকি দেওয়ার তার পিথে শিক্ষকের বেট হানে। কিন্তু তার পিথে টানা ৬বার বেট হানার কারনে ছাত্রটি গুরুত্ব আঘাত পেয়েছে।
শিক্ষার্থীর বাবা(তনখুপ বম ) সূত্রে, এ ঘটনার বিষয়ের দৈনিক আজকের বিপ্লবী বাংলাদেশ পত্রিকার বান্দরবান জেলার প্রতিনিধি একান্ত সাক্ষাৎতে তিনি জানিয়েছেন, সকালে বিদ্যালয়ের আশেপাশে ও আঙ্গিনা পরিচ্ছন্ন কাজে তার ছেলে অবহেলা করার অভিযোগে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত ত্রিপুরা তাকে বেত্রাঘাত করে আহত হয়েছে। তাই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি পাওয়ার জন্য লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো: শামসুল আলম ও শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা অঞ্জন চক্রর্বতী কাছে।
তিনি আরো জানান, ছেলেটা জ্বর থাকলেও ইদানিং পরিস্থিতি ভালো না থাকার গাড়ি যানবাহনে সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে পরেছি। তাই বাড়িতে সু-চিকিসাৎ পাওয়ার কোন সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি না। শিক্ষকের চিন্তা চেতনা অবুঝ আচরনে এবং সন্তানের আহত হওয়ার ঘটনায় বিচার চাওয়ার বাধ্য হন। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিভাবকদের দ্বারা পাঠদান সহ বিদ্যালয়ের নিয়মিত কাজে দায়িত্বে অবহেলার একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক( প্রশান্ত ত্রিপুরা) সাথে মুঠোফোনে অনেকবার কথা বলার জন্য চেষ্টা করা হলেও,তার মোবাইলে কোন ভাবে সংযোগ পাওয়া যায় নি।