খবর৭১ঃ রাজধানী মতিঝিলে চারটি ক্লাবে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। ক্লাবগুলো হলো-মোহামেডান, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ, দিলকুশা স্পোর্টিং ও ভিক্টোরিয়া। রবিবার দুপুর থেকে এ অভিযান শুরু হয়। এসব ক্লাবে অবৈধ ক্যাসিনো পাওয়া গেছে। জুয়া খেলার সরঞ্জামও মিলেছে। এছাড়া শিশা, বিদেশি সিগারেট পাওয়া গেছে। কয়েকটি ক্লাবে টাকা পাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মতিঝিল বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) আনোয়ার হোসেন জানান, সবগুলো ক্লাব থেকে ব্যাপক পরিমাণ জুয়া খেলার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। একটি ক্লাবে মদ পাওয়া গেছে। আরকটি ক্লাবে এক লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কাউকে আটক করা যায়নি। অভিযান এখনো চলছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
সম্প্রতি সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অবৈধ ক্যাসিনোর সন্ধানে প্রথমে অভিযান চালায় র্যাব। এর মধ্যে ঢাকার ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাব ও ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে ক্যাসিনো পাওয়া যায়।
ইয়ংমেনস ক্লাবের ক্যাসিনোর ভেতর থেকে তরুণীসহ ১৪২ জনকে আটক করা হয়। নগদ ২০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, মদ, বিয়ার জব্দ করা হয়। গ্রেফতার করা হয় ক্যাসিনোর সভাপতি যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে।
অপরদিকে যুবলীগের আরেক নেতা নেতা জি কে শামীমের অফিসে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করে র্যাব। এছাড়া নগদ এক কোটি ৮০ লাখ টাকা, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর (স্থায়ী আমানত) চেক ও ১শ কোটি টাকার চেক উদ্ধার করা হয়। আর শামীমকে তার সাত দেহরক্ষীসহ আটক করা হয়।
এরপর ধানমণ্ডির কলাবাগান ক্রীড়াচক্রে অভিযান চালায় র্যাব। এখান থেকে জুয়া খেলার কয়েন, ভিন্ন ধরনের ইয়াবা, একটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি গুলি, একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি ও কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শফিকুল আলম ফিরোজসহ ৫ জনকে।