খবর৭১ঃ
মানুষের সঙ্গে মানুষেরই বিয়ে হয়। কোনো কোনো উপজাতীয় রীতিতে গাছের সঙ্গে মানুষের বিয়ের কথাও শোনা যায়। কিন্তু তাই বলে ভূতের সঙ্গে মানুষের বিয়ে? শুনতে কিম্ভুত লাগলেও অবিশ্বাস্য এই কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন আয়ারল্যান্ডের এক সুন্দরী নারী। তার দাবি, তিনি ৩০০ বছরের পুরোনো ভূতকে বিয়ে করেছেন।
দীর্ঘদিন ধরে জীবন সঙ্গী খুঁজছিলেন আমান্ডা। অনেক খোঁজাখুজির পরও যখন মনের মতো কারও দেখা পাননি তখন সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনশ বছর আগে মারা যাওয়া জ্যাক স্পারো নামের এক জলদস্যুর ভূতকে।
তবে ভূত বিয়ে করার সিদ্ধান্ত এক দিনে নেননি আমান্ডা তেগ।
ঘটনার শুরু ২০১৪ সালের এক রাতে। প্রতিদিনের মতো আমান্ডা রাতের খাওয়া সেরে বিছানায় শুয়ে ছিলেন। হঠাৎ তিনি অনুভব করলেন তার পাশে কেউ একজন শুয়ে আছে।
প্রথমে চমকে গেলেও পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নেন যখন জ্যাকের আত্মা তার সঙ্গে কথা বলা শুরু করে। এরপর গত চার বছর তারা চুটিয়ে প্রেম করেছেন, একে অপরকে জেনেছেন।
কথাগুলো আমার আপনার কাছে বানানো কাহিনি মনে হলেও আমান্ডার কছে তা সত্য। আর দশটা নারীর মতো আমান্ডাও তার ভূত স্বামীকে নিয়ে দিব্যি সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করছেন। নিজের বিয়ে নিয়ে এক সংবাদমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে আমান্ডা বলেন, সে আমার আত্মার আত্মীয়। তাকে নিয়ে আমি সুখে আছি। যারা অলৌকিক সম্পর্কে বিশ্বাস করেন না তাদের জন্য আমার এই বিয়ে একটা বার্তা।
২০১৬ সালের জুলাই মাসে দাবি করেন তিনি আইনতভাবে বিয়ে করেছেন ভূত জ্যাক টিগকে। যিনি ১৭০০ সালে মারা গিয়েছিলেন। তবে সবচেয়ে বিস্ময়কর বিষয় হল, জ্যাক নাকি দারুণ যৌন আনন্দ দিতে পারে, আমান্ডা এর আগে কখনও এই অনুভূতি কোনও মানুষের থেকে পাননি। এখন ভূতের প্রেমে পাগল আমান্ডা। শুরুটা হয়েছিল পর্দার জ্যাক স্প্যারো ওরফে জনি ডেপকে দেখে। জলদস্যুদের জীবনের প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন আমান্ডা। এমনকি নিজের গায়ে স্প্যারোর মতো ট্যাটুও করিয়েছিলেন তিনি। ঘটনাচক্রে যে জলদস্যুর ভূতের সঙ্গে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তার নামও জ্যাক।
৪ সন্তানের মা আয়ারল্যান্ডে নিজের শোবার ঘরে একদিন শুয়ে ছিলেন। সেই রাতে তার ঘরে প্রবেশ করেন ৩০০ বছরের পুরনো জলদস্যু জ্যাকের অশরীরি। এরপরই তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। আর দশটা স্বাভাবিক বৈবাহিক সম্পর্কের মতই আমান্ডা ও জ্যাক ঝগড়া করেন, সপ্তাহান্তে রোম্যান্টিক ড্রাইভে যান, এমনকী একে-অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তও কাটান বলে দাবি করেছেন আমান্ডা।