খবর৭১ঃ নেদারল্যান্ডসের প্রভাবশালী ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিনের চলতি সংখ্যায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ‘শেখ হাসিনা:দ্য মাদার অব হিউম্যানিটি’ শিরোনামে কভার স্টোরি প্রকাশ করা হয়েছে। চলতি সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষ্যে গত বৃহস্পতিবার দ্য হেগের একটি হোটেলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ডিপ্লোম্যাটের প্রকাশক মেইলিন ডি লারা ও দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মুহম্মদ বেলাল উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে চীন, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান, ফিলিস্তিন, ইয়েমেন, মরক্কো, তিউনিসিয়া, অ্যাংগোলা, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, ইউক্রেন, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, ভ্যাটিকান, কসোভো, ব্রাজিল, কিউবা, পেরু, চিলি, ভেনিজুয়েলা এবং ইকুয়েডরের রাষ্ট্রদূতগণ, রাশিয়ান ফেডারেশন, জর্জিয়া, আর্জেন্টিনা এবং আজারবাইজেনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতগণ এবং যুক্তরাষ্ট্র, কেনিয়া, পোল্যান্ড এবং পানামা দূতাবাসের কূটনৈতিক প্রতিনিধিরা, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কর্মী, থিঙ্ক ট্যাঙ্কস, ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত বেলাল প্রচ্ছদ হিসেবে মানবতার কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ প্রধানমন্ত্রীর ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ সংক্রান্ত খবরকে বেছে নেওয়ার জন্য ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিনকে ধন্যবাদ জানান। তিনি উপস্থিত সকলকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের বাংলাদেশে আশ্রয় প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেওয়ার বলিষ্ঠ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এর মাধ্যমে লাখ লাখ নির্যাতিত মানুষের জীবন রক্ষা করে বিশ্ববাসীর নিকট ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। বাংলাদেশ সরকার নিজেদের অর্থনীতি, পরিবেশ এবং নিরাপত্তার ঝুঁকিকে উপেক্ষা করে শুধু মানবিক কারণে যেভাবে নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে খাদ্য, বাসস্থান, স্বাস্থ্যসেবা, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ইত্যাদি সুবিধাদি প্রদান করেছে সে সম্পর্কেও রাষ্ট্রদূত বিস্তারিত বর্ণনা করেন।
রাষ্ট্রদূত বেলাল জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের নিরাপত্তা, মর্যাদা এবং মৌলিক প্রয়োজনসমূহ নিশ্চিত করে দ্রুত তাদের নিজেদের বাসভূমিতে ফিরে যেতে সহায়তা করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এছাড়া রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ করার প্রতিও তিনি জোর দেন।