রাকিব হাসান পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ কলাপাড়ায় সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল পাচ্ছেন ২০ হাজার ১৫৩ দরিদ্র পরিবার। সেপ্টেম্বর মাস থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তিন মাস এ চাল পাবেন। তবে ফি বছর মোট পাঁচ মাস ১০টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ করছে সরকার।
মার্চ-এপ্রিল এবং এই তিন মাস খাদ্যবান্ধব সরকার এ চাল বিতরণ করছে। ইতোমধ্যে কলাপাড়ার ৩২ জন নিযুক্ত ডিলার খাদ্যগুদাম থেকে চাল উত্তোলন করেছেন। সপ্তাহে মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার তিন দিন এ চাল বিতরণের কথা। কার্ডধারী প্রত্যেক পরিবার পাবেন সর্বোচ্চ ৩০ কেজি চাল। গ্রামে বসবাসরত হতদরিদ্র ভূমিহীন, কৃষিশ্রমিক, দিনমজুর, উপার্জনে অক্ষম, বিধবা, তালাক প্রাপ্তা, স্বামী পরিত্যাক্তা, অস্বচ্ছল বয়স্ক নারী প্রধান প্ররিবার এবং যে সব দৃঃস্থ পরিবারে শিশু বা প্রতিবন্ধী রয়েছে তারা এ তালিকায় অগ্রাধিকার পাবেন। এমন নির্দেশনার আলোকে তালিকা তৈরি করে কার্ডধারী পরিবার ১০টাকা কেজি দরে মাসে একবার ৩০ কেজি করে চাল ক্রয়ের সুযোগ পাবেন। কলাপাড়ার ১২টি ইউনিয়নে এমন কার্ডধারী হতদরিদ্র ২০ হাজার ১৫৩ পরিবার মঙ্গলবার থেকে এ চাল টানা তিন মাস পাচ্ছেন। প্রত্যেক ডিলারের দোকানে কার্ডধারীদের তালিকা টানানোর কথা। তবে অভিযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিগণ এসব তালিকায় কমপক্ষে এক তৃতীয়াংশ পরিবারের নাম রয়েছে যারা সম্পদশালী, স্বচ্ছল এবং দুঃস্থ কিংবা হতদরিদ্র নয়।
এমনকি চাকরিজীবীদের পর্যন্ত নাম রয়েছে এ তালিকায়। একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তির নাম রয়েছে। একই ব্যক্তির একাধিক নামও রয়েছে। ডিলাররা চাল তুলে তদারকি কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে নিজেদের খেয়ালখুশি মতো চাল বিতরণ করছে। কেউ কেউ আবার এক চতুর্থাংশ চাল না তুলে বিক্রি করে দেয়। সাধারণ দুঃস্থ মানুষরা বঞ্চিত হয় সরকারের মহৎ এ উদ্যোগ থেকে। তাই প্রত্যেক ডিলারের দোকানে আগে তালিকা টানিয়ে রাখার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি তদারকি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আগে স্টক যাচাই-বাছাই করে তারপরে চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরুর দাবি সাধারণ মানুষের। নইলে সরকারের ১০টাকা কেজি দরে চাল বিতরণের কর্মসূচি চরমভাবে বাধাগ্রস্থের শঙ্কা রয়েছে।
তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) অনুপ দাশ জানান, চাল বিতরণে অনিয়ম পেলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।