খবর৭১ঃ মহাজাগতিক ‘সুপার মুন’ নিয়েই এতদিন আলোড়িত হয়েছে গোটা বিশ্ব। ভরা পূর্ণিমার রাতে গভীর বিস্ময় নিয়ে বিশাল আকৃতির চাঁদ দেখে মুগ্ধ হয়েছে মানুষ। সেই অতিকায় চাঁদকে এবার দেখা যাবে একবারে খুদে অবয়বে।
আজ ভরা পূর্ণিমায় আকাশে ভাসবে ‘মাইক্রো মুন’— । চাঁদের আলো ১২ শতাংশ কম ছড়াবে পৃথিবীতে। রুপালি ছটা ম্রিয়মাণ হবে। থাকবে না গোলাপি বা সবুজ কোনো আভা। খর্বাকৃতির মহাজাগতিক চাঁদ দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে জগদ্বাসী। উপবৃত্তাকার কক্ষপথের জন্য চাঁদ কখনো চলে আসে পৃথিবীর কাছে আবার কখনো চলে যায় দূরে।
আজ শুক্রবার চাঁদ অবস্থান করবে পৃথিবী থেকে দূরতম স্থানে। অতঃপর আবার অভিলাষী চাঁদ ক্রমাগত চলে আসতে থাকবে পৃথিবীর কাছে। পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব ২ লাখ ৫১ হাজার ৬৫৫ মাইল হলেই মাইক্রো ধরা হয়। কিন্তু এবার তার থেকেও ৮১৬ মাইল দূরে থাকবে চাঁদ। আর সুপার মুনের ক্ষেত্রে পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব ২ হাজার ৩৯ মাইল বা তার চেয়েও কমে যায়।
বিজ্ঞানীদের মতে, মাইক্রো মুনের ক্ষেত্রে চাঁদ ১৪ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছোটো দেখায়। দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেখা মিলছে ক্ষুদ্র চাঁদের। এর আগে দেখা গিয়েছিল ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাসে।
বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি জানায়, আজ শুক্রবার পূর্ণিমা শুরু হচ্ছে সকাল ৭টা ৩৬ মিনিটে। আর পূর্ণিমা শেষ হবে আগামীকাল ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা ৩ মিনিটে। এই সময়ের মধ্যে চাঁদকে সবচেয়ে ছোটো দেখাবে। তবে ক্ষুদ্রতম এই চাঁদ অবলোকনের ক্ষেত্রে বড়ো বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে মেঘলা আকাশ।
আবহাওয়া দপ্তর বলছে, আজ রাতে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সঙ্গে থাকতে পারে বৃষ্টি। তাই ১৩ বছর পর এই মাইক্রো মুন দেখার সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনাও কম। সে ক্ষেত্রে এবার দেখা না গেলে পরের বার মাইক্রো মুন দেখতে গেলে অপেক্ষা করতে হবে ২০৩৩ সালের মে মাস পর্যন্ত। সে সময় চাঁদ আবার পৃথিবী থেকে সব থেকে দূরে চলে যাবে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ৪১৩ দিনে চাঁদ ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবীর প্রেক্ষিতে এমন একটি অক্ষে এসে পৌঁছায় যার ফলে পৃথিবীর সঙ্গে চাঁদের দূরত্ব হয়ে যায় সর্বোচ্চ। তখন চাঁদ পরিণত হয় মাইক্রো মুনে। তবে এবারের দূরত্বটা একটু বেশিই।