উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের শিক্ষার্থী সুরাইয়া আক্তার হত্যার রায় ৬ অক্টোবর

0
536
উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী সুরাইয়া হত্যায় একমাত্র আসামির মৃত্যুদণ্ড
উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের শিক্ষার্থী সুরাইয়া আক্তার।

খবর৭১ঃ

রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের শিক্ষার্থী সুরাইয়া আক্তার হত্যা মামলার যুক্তিতর্কের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ৬ অক্টোবর এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ঠিক করেছেন আদালত। বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েস এই দিন ঠিক করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) তাপস কুমার পাল বলেন, এই মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষ থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। আদালত আগামী ৬ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেছেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আদালতের কাছে এই মামলার একমাত্র আসামির সর্বোচ্চ সাজা দাবি করা হয়েছে।

এ দিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ বলেন, আসামিপক্ষ থেকে এই মামলায় আদালতের কাছে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল সুরাইয়া হত্যা মামলার একমাত্র আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু করেন আদালত। মামলার আসামি ওবায়দুল খানকে বুধবার কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট ওবায়দুল খানের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয় সুরাইয়া। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ আগস্ট তাঁর মৃত্যু হয়। সুরাইয়া অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

মামলার এজাহার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পরীক্ষা শেষে স্কুল থেকে বেরিয়ে সুরাইয়া রাস্তার ওপারে যাওয়ার জন্য পদচারী-সেতুতে ওঠে। সেতুর মাঝামাঝি পৌঁছালে ওবায়দুল তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। সুরাইয়ার চিৎকারে স্কুলের শিক্ষার্থীরা ও কয়েকজন অভিভাবক ছুটে আসেন। এরপর তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার দিন হাসপাতালে সুরাইয়ার মা জানিয়েছিলেন, তিনি ও তাঁর মেয়ে ইস্টার্ণ মল্লিকা মার্কেটের একটি দরজির দোকান থেকে সালোয়ার-কামিজ বানাতেন। যোগাযোগের জন্য তাঁর মুঠোফোন নম্বর রেখেছিলেন ওই দোকানের কর্মচারীরা। ওই নম্বরে ফোন করে দোকানের কর্মচারী ওবায়দুল তাঁর মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতেন। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ করে দেন। এরপর থেকে তাঁর মেয়েকে ওবায়দুল স্কুলের সামনে উত্ত্যক্ত করতেন। এ ঘটনায় একপর্যায়ে তিনি বাদী হয়ে রমনা থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। পরে সুরাইয়া মারা গেলে এটি হত্যা মামলায় পরিণত হয়।

এরপর একই বছরের ৩১ আগস্ট নীলফামারী থেকে আসামি ওবায়দুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সুরাইয়াকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিও দেন তিনি। পরে ওই বছরের ১৪ নভেম্বর রমনা থানার পুলিশ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here