খবর৭১ঃ
চট্টগ্রামের আলোচিত ডা. আকাশকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলার স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুসহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ।
চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন– মিতুর বাবা আনিসুল হক চৌধুরী, মা মোছাম্মৎ শামীমা শেলী, বোন সানজিলা হক চৌধুরী এবং মিতুর কথিত বন্ধু ডা. মাহবুবুল আলম।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ–কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘সোমবার বিকেলে চার্জশিটটি প্রসিকিউশন শাখায় জমা পড়েছে। মঙ্গলবার সরকারি ছুটি ছিল। বুধবার আমরা সেটি সংশ্লিষ্ট আদালতে পাঠিয়েছি। সেখানে চার্জশিট গ্রহণযোগ্যতার শুনানির সময় নির্ধারিত হবে।’
গত ৩১ জানুয়ারি ভোরে চট্টগ্রাম নগরীর চাঁন্দগাও আবাসিক এলাকার নিজ বাসায় নিজ শরীরে ইনজেকশন পুশ করে আত্মহত্যা করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশ। মৃত্যুর আগে তিনি ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে প্যাটেল, মাহাবুবসহ একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তোলেন এবং তার আত্মহত্যার জন্য স্ত্রী দায়ী বলে উল্লেখ করেন।
এ ঘটনায় আকাশের স্ত্রীসহ ৬ জনকে আসামি করে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে চান্দগাঁও থানায় ডা. আকাশের মা জোবাইদা খানম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। ১ ফেব্রুয়ারি রাতে নগরীর নন্দনকানন এলাকায় খালাত ভাইয়ের বাসা থেকে পুলিশ আকাশের স্ত্রী মিতুকে গ্রেফতার করেন।
ডা. আকাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অ্যানেসথেসিয়া বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তিনি চন্দনাইশ উপজেলার বাংলাবাজার বরকলের আবদুস সবুরের ছেলে। ২০১৬ সালে তানজিলা হক মিতুকে বিয়ে করেন ডা. আকাশ। কিন্তু বিয়ের তিন বছর না যেতেই ভালোবাসার বিয়ে ফিকে হয়ে যায়। মৃত্যুর আগে ডা. আকাশ নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন– ‘ভালো থেকো, আমার ভালোবাসা (মিতু) তোমার প্রেমিকদের নিয়ে…।’