খবর৭১ঃ
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হসপিটালের বার্ন ইউনিটের বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছে হোসাইন (১০) নামের ছেলে। হতদরিদ্র ঘরের ছেলে পেটের তারনায় হোসাইন হোটেলে কাজ করতো। কাজ করা অবস্থায় ইলেক্ট্রিক সর্টের কারণে তার শরীরের ৭০শতাংশ পুড়ে গিয়ে বার্ন ইউনিটে বেডে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
জানা যায়, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার দেলুয়া গ্রামের দিনমজুর শরিফুল ইসলামের ছেলে হোসাইন। বাবার পর্যাপ্ত পরিমান আয় রোজগার না থাকার কারণে বেলকুচি সরকারী কলেজ সংলগ্ন রেইনবো রেস্টুরেন্টে কাজ করতো সে । গত ১৯ আগষ্ট (সোমবার) বেলা ১২ ঘটিকায় সময় হোটেলের ছাদে কাজের জন্য উঠলে বিদ্যুৎতের তারের সাথেপৃষ্ঠ হয়ে শরীর পুড়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে হোটেল কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আবস্থার বেগতিক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হসপিটালের প্রেরণ করেন।
হোসাইনে ফুপু রোজিনা আক্তার সাথী কান্না জনিত কন্ঠ মুঠো ফোনে প্রতিবেদককে জানায়, একটা ইনজেকশানের জন্য আমার ভাতিজা আজ মেডিক্যালের বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছে। তাকে আমরা সঠিক চিকিৎসা দিতে পারছি না। অথচ হোটেল মালিক মানুষের মুখে রটিয়ে বেড়াচ্ছে আমার ভাতিজার চিকিৎসা জন্য ৫০ হাজার টাকা দিয়েছে। তারা শুধু ভাতিজার চিকিৎসা করাবে বলে আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে। আমরা টাকার জন্য চিকিৎসা করাতে পারছি না। আমার ভাতিজা যদি চিকিৎসা বিনে মারাই যায় তাহলে তাদের এ কেমন সহানুভূতি। এখন আমরা মানুষের দরজায় হাত পেতেছি। ডাক্তার বলেছে, তার চিকিৎসা করাতে ৩ লক্ষ টাকা লাগবে। বর্তমানে তার আবস্থা খুবই সোচনীয়।
এদিকে রোইনবো চাইনিজ রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী শামীম জানান, আমরা চিকিৎসার হোসাইনের চিকিৎসার জন্য সহায়তায় দিয়ে আসছি। আরও সহায়তা করবো। অপরদিকে স্থানীয় পৌর কাউন্সিল শহিদুল ইসলাম জানান, ছেলেটি পরিবার অত্যান্ত দরিদ্র। তাকে চিকিৎসার জন্য হোটেল মালিক সহ বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএমের সাথে কথা বলেছি। আমার জানা মতে হোটেল মালিক চিকিৎসার জন্য তাদের আর্থিক সহযোগিতা করে আসছে।
আর্থিক সহযোগিতা পাঠাতে চাইলে হোসাইনের বাবার বিকাশ নাম্বার যোগাযোগ করে পাঠাবেন। হোসাইনের বাবার বিকাশ নাম্বার: 01751253332 (বিকাশ পারসোনাল)