হুমায়ুন কবীর রিন্টু, প্রকল্প অঞ্চল থেকে ফিরে :
নড়াইলের চিত্রা ও খুলনার আঠারোবাকি নদী পুনঃখননে হাসি ফুটেছে নড়াইলসহ তিন জেলার লাখো মানুষের মুখে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হওয়ায় দীর্ঘ ৩০ বছর পর আঠারোবাকি এবং চিত্রা নদীর ৮৬ কিলোমিটার নৌপথ প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। এছাড়া নদী সংলগ্ন ৩৩টি খালের ৮৯ কিলোমিটার অংশ পুনর্জীবিত হয়েছে। ১৩টি বিলের পানি নিষ্কাশনের মধ্য দিয়ে নিরসন হচ্ছে নড়াইল, বাগেরহাট ও খুলনা অঞ্চলের ৪৩ হাজার হেক্টর জমির জলাবদ্ধতা। এদিকে, ৫৭ দশমিক ২৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ আঠারোবাকি নদীর মধ্যে ৩২ কিলোমিটার অংশে সৃষ্টি করা হয়েছে মিঠাপানির জলাধার।
প্রায় ৩০ বছর পর আঠারোবাকি এবং ২০ বছর পর চিত্রা নদী পুনঃখননের উদ্যোগ নেয়া হয়। এই দু’টি নদী পুনঃখননের মধ্য দিয়ে নদী অভ্যন্তরীণ এবং আশেপাশের জীববৈচিত্র্য সজীব হয়ে উঠছে। মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষিবিপ্লবসহ আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। ২০১৫ সালের জুনে প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৯ দশমিক ১৫০ কিলোমিটার চিত্রা নদীর পুনঃখনন কাজ হয়েছে। আঠারোবাকি নদীর সংযোগস্থল খুলনার তেরখাদা উপজেলার ছাগলাদহ ইউপি কার্যালয় এলাকা থেকে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পাটনা পর্যন্ত চিত্রা নদী পুনঃখনন করা হয়েছে। নদীর দুইপাড়ে সামাজিক বনায়নের আওতায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হয়েছে। পুনঃখননের মাটি দিয়ে নদীর কোল ঘেঁষে প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করে পাঁকাকরণেরও কাজ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে চিত্রা ও আঠারোবাকি নদী এবং ৩৩টি খাল তীরবর্তী এলাকার লাখো মানুষ এসব কাজের সফলতা পাচ্ছেন।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) নড়াইল ও খুলনা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৩ জানুয়ারি আঠারোবাকি নদী পুনঃখনন কাজের উদ্বোধন হয়। নড়াইলের নড়াগাতি থানার চাপাইলঘাট থেকে খুলনার রূপসা উপজেলার আলাইপুর ব্রিজ পর্যন্ত ৪২ দশমিক ২৫০ কিলোমিটার পুনঃখনন এবং রূপসার নন্দনপুর এলাকা থেকে আলাইপুর ব্রিজ পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার নদী ড্রেজিং করা হচ্ছে। স্থান ভেদে প্রায় ১৩ থেকে ২২ ফুট গভীরতায় পুনঃখনন করা হচ্ছে আঠারোবাকি নদী। আর তলদেশের প্রস্থ সর্বোচ্চ ১৫০ ফুট ও সর্বনি¤œ ৪৫ ফুট এবং উপরি ভাগের প্রস্থ ৭৫ ফুট থেকে সর্বোচ্চ ২৮৫ ফুট পর্যন্ত। এদিকে, নদীর বাকি ৮ কিলোমিটারে নাব্যতা থাকায় পুনঃখনন বা ড্রেজিং করা হচ্ছে না। নদীর মোট দৈর্ঘ্য ৫৭ দশমিক ২৫০ কিলোমিটার। ইতোমধ্যে আঠারোবাকি নদী পুনঃখননের ও ড্রেজিংয়ের ৫৫ ভাগ কাজ এবং ৩৩টি খাল পুনঃখননের ৮০ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে আঠারোবাকি নদীর বিভিন্ন স্থানে ব্রিজ নির্মাণ এবং নদীর দুই পাড়ে সামাজিক বনায়নসহ রাস্তা তৈরি করা হবে। একটি স্লুইসগেট নির্মাণসহ আঠারোবাকি নদী পুনঃখনন ও ড্রেজিং কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ১শ ২৫ কোটি ৪০ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে নদী পুনঃখননে ১শ ১৮ কোটি ৪০ লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং আট ভেল্ট স্লুইসগেট নির্মাণে ৭ কোটি টাকা। ‘খুলনা জেলার ভূতিয়ার বিল এবং বর্ণাল-সলিমপুর-কোলাবাসুখালী বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন (২য় পর্যায়) প্রকল্প’ এর আওতায় আঠারোবাকি নদী পুনঃখনন ও ড্রেজিং এবং স্লুইসগেট নির্মাণ চলছে। কাজটি বাস্তবায়ন করছে সেনাবাহিনী পরিচালিত বাংলাদেশ ডিজেল প্লান্ট (বিডিপি) লিমিটেড এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ প্রকল্পের অধীনে আঠারোবাকি নদী পুনঃখননসহ ১০টি কাজ রয়েছে। এই ১০টি কাজের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২শ ৮১ কোটি ৯০ লাখ ১৬ হাজার টাকা। প্রকল্পটি ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর একনেকে অনুমোদন পায়। এর আগে ২০১১ সালের ৫ মার্চ খুলনা সফরকালে প্রধানমন্ত্রী এ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসন, আঠারোবাকি নদী পুনঃখননসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাজের প্রতিশ্রুতি দেন। বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ২০১৮ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ না হলেও এরই মধ্যে চিত্রা ও আঠারোবাকি নদী এবং খাল পুনঃখননের সুফল পেতে শুরু করেছেন নড়াইল, বাগেরহাট ও খুলনা জেলার লাখ লাখ মানুষ। বদলে গেছে নদীবর্তী এলাকার মানুষের জীবনযাত্রা। নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পাখিমারা গ্রামের বয়োবৃদ্ধ ফুলমিয়া বলেন, আঠারোবাকি নদী অনেক বড় ছিল। স্টিমার পর্যন্ত চলত। স্বাধীনতার পর নদী আস্তে আস্তে ভরাট হয়ে যায়। এখন নদী কাটায় অনেক উপকার হয়েছে। কৃষি জমির জলাবদ্ধতা দুর হয়েছে। চরবল্লাহাটি গ্রামের নূর ইসলাম খান বলেন, যে নদী মরে সমতল ভূমিতে পরিণত হয়েছিল। সেই সমতল ভূমি কেটে ‘আঠারোবাকি’ নদীকে যৌবনা করা হচ্ছে। এই নদী পুনঃখননের মধ্য দিয়ে এলাকার জীবনযাত্রা বদলে গেছে। নদীর পানি দিয়ে কৃষকেরা শুষ্ক মওসুমে ধান, পাট, পানের বরজসহ অন্যান্য ফসল আবাদ করছেন।
কালিয়ার পহরডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোল্যা মোকাররম হোসেন বলেন, আঠারোবাকি নদী পুনঃখননে এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন। তবে, পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের বাগুডাঙ্গা বাজার থেকে নদীর উৎসমুখ চাপাইলঘাট পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার অংশে নদী খনন কাজ বন্ধ রয়েছে। এতে আগাম বর্ষায় এ এলাকায় জলাবদ্ধতার আশংকা রয়েছে। নদী খননের কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি করেন তিনি। বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার চুনখোলা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য মিরাজ শরীফ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই উন্নয়ন প্রকল্পে এলাকার মানুষের ভাগ্য বদলেছে। আঠারোবাকি নদী খননের মধ্য দিয়ে নড়াইল, বাগেরহাট ও খুলনা জেলার লাখ লাখ মানুষ উপকারভোগী হবেন। জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি নোনা পানি থেকে ফসলি জমিগুলো রক্ষা পাবে। চুনখোলা গ্রামের হেনা বেগম বলেন, নদীর স্বচ্ছ পানি দিয়ে রান্নার কাজ, গোসলসহ গৃহস্থালির অন্যান্য কাজে ব্যবহার করছি। অথচ আগে পানির জন্য অনেক কষ্ট করতে হতো। খুলনার তেরখাদা উপজেলার ছাগলাদহ ইউপি চেয়ারম্যান এসএম দীন ইসলাম বলেন, আঠারোবাকি নদী ও খাল পুনঃখননের ফলে ভূতিয়ার বিলের জলাবদ্ধতা নিরসন হচ্ছে। এতে এ অঞ্চলের চাষাবাদ বাড়বে। ইতোমধ্যে কৃষকেরা এর সুফল পেয়েছেন। তেরখাদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম অহিদুজ্জামান বলেন, চিত্রা নদী ও খাল পুনঃখননের ফলে এলাকাবাসী জলাবদ্ধতার কবল থেকে মুক্তি পেয়েছেন। ফসলি জমির পাশাপাশি বসতবাড়িরও জলাবদ্ধতা দুর হয়েছে। এ অঞ্চলের চাষাবাদ বেড়েছে। নদী পুনঃখনন কাজে নিয়োজিত স্কেভেটর চালক আনোয়ার হোসেন জানান, ৮ টি স্কেভেটর মেশিন দিয়ে আঠারোবাকি নদী পুনঃখনন করা হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে। এ লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে চলেছে। নড়াইল জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি শাহীদুল ইসলাম শাহী বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় নদীর নাব্যতা হারিয়ে নদীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। সেখানে আঠারোবাকি ও চিত্রা নদী পুনঃখনন করে প্রাণবন্ত করা সুখবরই বটে। তবে, পরিবেশ রক্ষাসহ নাব্যতা ধরে রাখার জন্য নদীর বুকে বাঁশের পাঁটাতন, বাঁধ দেয়া ও শিল্প কারখানার বর্জ্য নিষ্কাশন বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপের পাশাপাশি সকলকে সচেতন থাকতে হবে।
বাপাউবো খুলনার তেরখাদা অঞ্চলের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ) পলাশ কুমার ব্যানার্জী জানান, জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে আঠারোবাকি নদীর বিভিন্ন স্থানে ব্রিজ করার জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে চিঠি দেয়া হয়েছে। নদীর দু’পাড়ে সামাজিক বনায়ন এবং রাস্তা করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাপাউবো, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে জরিপ পরিচালনা করে এসএ রেকর্ড অনুযায়ী খাস জমিতে আঠারোবাকি নদী পুনঃখনন চলছে। এ কাজের জন্য মোল্লাহাট উপজেলার গাংনীবাজার এলাকায় চারতলা বসতবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি অবৈধ স্থাপনাও উচ্ছেদ করা হয়েছে। কাটতে হয়েছে ফসলি জমিও। আর চিত্রা নদী পুনঃখননের পর নদীপাড়ে রৃক্ষরোপনসহ রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। বাপাউবো খুলনা বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফুল ইসলাম বলেন, আঠারোবাকি নদীটি নড়াইলের নড়াগাতি থানার চাপাইল সেতু এলাকার মধুমতি নদী থেকে উৎপত্তি হয়ে খুলনা জেলার জেলখানাঘাট নামক স্থানে রূপসা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। আঠারোবাকি নদীর প্রায় ৩২ কিলোমিটার অংশে মিঠাপানির জলাধার থাকছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে নড়াইল এবং খুলনা জেলার ভূতিয়ার বিল, পদ্ম বিল, বাসুখালী বিল, কোলা বিল, কেটলা বিল, সলিমপুর বিল, কালিয়া বিল এবং আশেপাশের অন্যান্য বিলের পানি নিস্কাশনের ফলে জলাবদ্ধতা দুর হবে। এছাড়া বসতবাড়িতে ব্যবহার, কৃষি সেচ সুবিধা, টিআরএম-এর মাধ্যমে নদীর নাব্যতা বজায় রাখা এবং বিলের জমি উঁচুকরণ, সমুদ্রের লোনা পানি প্রবেশ থেকে প্রকল্প এলাকাকে রক্ষা করে কৃষি উৎপাদন ও অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে গতিশীল করা হচ্ছে। এছাড়া আঠারোবাকি নদীর সংযোগস্থল থেকে নড়াইলের কালিয়ার পাটনা পর্যন্ত ২৯ দশমিক ১৫০ কিলোমিটার চিত্রা নদী পুনঃখনন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এই দু’টি নদী ও ৩৩টি খাল পুনঃখননকৃত এলাকার জনসাধারণ সুফল পেতে শুরু করেছেন বলে মন্তব্য করেন প্রকৌশলী শরীফুল ইসলাম। নিয়মানুযায়ী পাউবোর টাস্কফোর্স টিমের সদস্যরা এসব কাজের পরিমাণ ও গুণগত মান নিশ্চিত করেন। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) সূত্রে আরো জানা যায়, খুলনার রূপসা নদী থেকে পলিযুক্ত পানি আঠারোবাকি নদী হয়ে চিত্রা নদীর মাধ্যমে ইছামতি খাল দিয়ে তেরখাদা উপজেলার ছাগলাদহ ইউনিয়নের কোদলার বিলের ৯০ হেক্টর জমিতে এবং একই উপজেলার সাথিয়াদহ ও ছাগলাদহ ইউনিয়নের মসুনদিয়া বিলের ৫২০ হেক্টর জমিতে পলিমাটি প্রবেশ করবে। এ বিল দু’টিতে টিআরএম (নিচু স্থানে পলি জমা করে মাটির স্তর উচু করা) কার্যক্রম পরিচালিত হবে। টিআরএম এর ফলে চিত্রা নদীর পলিবাহিত পানি বিলে ঢুকে পলি পড়ে বিল উঁচু হবে এবং জলাবদ্ধতা দূর হবে। এছাড়া বিলের স্বচ্ছ পানি ভাটার সময় বের হয়ে আঠারোবাকি ও চিত্রা নদীর মাধ্যমে রূপসা নদীতে গিয়ে পড়বে; এতে নদীগুলোর নাব্যতা বজায় থাকবে। এ লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। এছাড়া কালিয়া ও তেরখাদার বিভিন্ন বিলেও পর্যায়ক্রমে টিআরএম পরিচালনা করে বিলসমূহের জলাবদ্ধতা দুর করে চাষাবাদ উপযোগী করে তোলা হবে বলে বাপাউবো সূত্রে জানা গেছে। খুলনা জেলার ভূতিয়ার বিল এবং বর্ণাল-সলিমপুর-কোলাবাসুখালী বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন (২য় পর্যায়) প্রকল্পের ১০টি কাজের মধ্যে রয়েছে-৪৯ দশমিক ২৫০ কিলোমটার আঠারোবাকি নদী পুনঃখনন, ২৯ দশমিক ১৫০ কিলোমটিার চিত্রা নদী পুনঃখনন, তেরখাদার কোদলা ও মসুনদিয়া বিলে টিআরএম পরিচালনা, টিআরএম পরিচালনা জন্য শস্য ক্ষতিপূরণ, ১৩ দশমিক ৩৬৫ কিলোমিটার পেরিফেরিয়াল (বিলের চতুর্দিকে বেড়িবাঁধ) বাঁধ নির্মাণ, পেরিফেরিয়াল বাঁধ এলাকায় দু’টি বেইলি ব্রিজ নির্মাণ, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নবগঙ্গা ও মধুুমতি নদী এলাকায় ৩ দশমিক ১১২ কিলোমিটার স্থায়ী তীর সংরক্ষণ এবং পাটনা, চাপাইল ও ভোগবাগ এলাকায় রেগুলেটরসহ ছয়টি স্লুইসগেট নির্মাণ কাজ। এছাড়া কালিয়া উপজেলাসহ খুলনার তেরখাদা, দিঘলিয়া ও রূপসা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩৩টি অভ্যন্তরীণ নিষ্কাশন খাল পুনঃখনন এবং ৯ টি স্লুইসগেট ও রেগুলেটর মেরামত কাজ এগিয়ে চলেছে। এর মধ্যে বাপাউবো’র তত্ত্বাবধানে চিত্রা নদী পনুঃখনন, পেরিফেরিয়াল বাঁধ নির্মাণ, কালিয়ার পাটনা, ভোগবাগ ও তেরখাদার লস্করপুর এলাকায় ৩ টি স্লুইসগেট নির্মাণ, ৬৫ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন কাজ এবং নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কোদলা ও মসুনদিয়া এলাকায় ২ টি বেইলি ব্রিজ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এই ১০টি প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২শ ৮১ কোটি ৯০ লাখ ১৬ হাজার টাকা। প্রকল্পের পুরো কাজ ২০১৮ সালের জুনে শেষ হবার কথা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। #